গোপালগঞ্জে এনসিপি (NCP) আয়োজিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় রূপ নেয়া সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যার পর এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে, যা গভীর রাত পর্যন্ত চলতে থাকে। ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করেছে সরকার।
জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেশ বিশ্বাস (Jibitesh Biswas) নিশ্চিত করেছেন, সংঘর্ষে নিহত চারজনের মৃতদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, “মৃতদের শরীরে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া আরও অনেকে আহত হয়েছেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তবে নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা যাচ্ছে না।”
নিহতদের মধ্যে শহরের উদয়ন রোড এলাকার দীপ্ত সাহা ও কোটালিপাড়া উপজেলার রমজান কাজীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকি দু’জনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
দিনভর উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি স্লোগানের মধ্য দিয়ে চলা এনসিপির সমাবেশ ঘিরে শহরের পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সন্ধ্যার পর সংঘর্ষ শুরু হয়, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায়। হামলা, ভাঙচুর ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
সংঘর্ষের পর এনসিপির শীর্ষ নেতারা সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় গোপালগঞ্জ ত্যাগ করে খুলনার উদ্দেশে রওনা হন। রাতেই তারা খুলনায় পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে।
গোপালগঞ্জে এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিরাপত্তা বাহিনী শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ বহাল থাকবে। স্থানীয়দের ঘরে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এই ঘটনার পেছনে কারা জড়িত, তা নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি প্রশাসন। তবে এনসিপির একাধিক নেতা সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে।