৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের রাজনীতিতে নতুন জোয়ার দেখছেন জাতীয় পার্টির (Jatiya Party) অব্যাহতিপ্রাপ্ত কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। তরুণ প্রজন্মের নতুন স্বপ্ন ও রাজনৈতিক চেতনার জায়গা থেকে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন—”সবাইকে নিয়ে একটি নতুন জাতীয় পার্টি গড়ে তুলবো”, যা হবে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক।
রবিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত হাওলাদার টাওয়ারে জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন রুহুল আমিন হাওলাদার।
তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর তরুণ প্রজন্ম নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। তারা দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে চায়। এই নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও প্রত্যাশার বাস্তবায়নেই হবে আমাদের নতুন জাপা।”
হাওলাদার দাবি করেন, “জাতীয় পার্টি কারও একক সম্পত্তি নয়, এটা দেশের সাধারণ মানুষের দল। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গড়া দলকে আমরা আবার তৃণমূলে ফিরিয়ে নিয়ে যাব। আমরা রাজপথে থাকবো জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। একই সঙ্গে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তিনি আরও বলেন, “জাতীয় পার্টি এখন শুধু বিরোধী শক্তি নয়, আমরা হয়ে উঠতে চাই জাতির বিকল্প নেতৃত্ব—যে নেতৃত্ব সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এরশাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করবে।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ফখরুল আহসান শাহজাদা, সারফুদ্দিন আহমেদ শিপু, মাসুক আহমেদ, শাহনাজ পারভিন, মোতালেব হোসেন এবং জাহিদ হোসেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জাতীয় পার্টির এই ‘নতুন ধারা’ ঘোষণা কেবল একটি দলীয় পুনর্গঠনের কথা নয়, বরং দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও গণতন্ত্রের প্রশ্নেও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।