জাতীয় নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ প্রকাশের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহেই এই সময়ভিত্তিক বাস্তবায়নসূচি জনসমক্ষে আনা হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসি সচিব আখতার আহমেদ (Akhtar Ahmed) এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, “আমাদের রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা শেষ হয়েছে। আশা করছি, আগামী সপ্তাহেই প্রকাশ করতে পারব। এর মাধ্যমে আমাদের প্রস্তুতির একটি সুস্পষ্ট চিত্র পাওয়া যাবে।”
এদিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus) আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে, রমজান শুরুর আগে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের প্রায় দুই মাস আগে— অর্থাৎ ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে— নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশে নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশের এই ধারা নতুন নয়। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৭-২০০৮ সাল থেকেই এমন রোডম্যাপ জনসমক্ষে আনার রেওয়াজ গড়ে ওঠে। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দেড় বছর আগে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে, তৎকালীন কমিশন রোডম্যাপ ঘোষণা করেছিল।
আসন্ন রোডম্যাপে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, সীমানা নির্ধারণ, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, নির্বাচনী আইন সংস্কার, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ক্রয়, দল ও অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, মুদ্রণ কাজ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সভা, এবং তফসিল ঘোষণার আগে-পরে বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের তালিকা থাকবে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালের নভেম্বরে দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরপর ২০২৫ সালের ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে একটি প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা সাজানো হয়েছিল, যা এবার পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ আকারে প্রকাশ পেতে যাচ্ছে।