“যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় রাবণ”—উপদেষ্টাদের ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ ডা. তাহের

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের (Syed Abdullah Muhammad Taher) কঠোর সমালোচনা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের ব্যর্থতা ও অসংগত আচরণের। তাঁর ভাষায়, “যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় রাবণ।”

রবিবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জুলাই ঘোষণা ও জুলাই সনদ নিয়ে আয়োজিত আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে ডা. তাহের বলেন, বিপ্লবের চেতনায় আস্থা রেখে জনগণ যাদের ক্ষমতায় বসিয়েছিল, তারাই আজ জাতিকে তামাশার পাত্র বানিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, দেশের মানুষ নতুন সূচনার আশায় বুক বেঁধেছিল, কিন্তু তার বদলে তারা এখনো গভীর হতাশায় নিমজ্জিত।

ডা. তাহের বলেন, “৫৪ বছরের নেতৃত্বে দেশ যে সংকটের মধ্যে পড়েছিল, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের মাধ্যমে তা অবসান হয়। সেই আন্দোলনের ফলেই শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। কিন্তু জাতি ভেবেছিল এর পরেই শুরু হবে নতুন অধ্যায়, অথচ সেটি হয়নি।”

সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ—অন্তর্বর্তী সরকার বলেছিল, সংস্কার, বিচার, তারপর নির্বাচন। কিন্তু বাস্তবে সংস্কারের কোনো ছাপ নেই। বরং সবকিছু যেন এক প্রহসনে পরিণত হয়েছে। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “জনগণের আন্দোলনের ফসল হিসেবে যাদের ক্ষমতায় বসানো হয়েছিল, তারা জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।”

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনায় আরও বলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর ঐকমত্য কমিশনে নানা সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন এখনো হয়নি। তাঁর দাবি, নির্বাচনের আগে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা সরকারের দায়িত্ব। “যারা আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে, সেই জনগণ এখনো বেঁচে আছে, তারা আপনাদের জবাব চাইবেই,” সতর্ক করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) সম্প্রতি জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহেই ঘোষিত হবে নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *