জামায়াত ঐতিহাসিকভাবে জাতির ক্রান্তিলগ্নে স্টুপিড সিদ্ধান্ত নেয় : জাহেদ উর রহমান

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. জাহেদ উর রহমান বলেছেন, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এখন যেহেতু আওয়ামী লীগ নাই বা আওয়ামী লীগ থাকলেও বিএনপির জামায়াতকে প্রয়োজন ছিল না বরং জামায়াত একটা লায়াবিলিটি। বিএনপি যে এতদিন লায়াবিলিটি নিয়েছে তার হিসাবের কারণে এবং আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি, ২০০১- পর বিএনপি জামায়াতকে যতদিন পর্যন্ত সঙ্গে রেখেছে- ইট ওয়াজ অ্যা ভেরি রং ডিসিশন। সত্যি বিএনপির এখন জামায়াতের প্রয়োজন নাই। এখন সে (জামায়াত) কী করবে? আবার অনলাইনে বিরাট শোরগোল তাদের।

তারা নিজেরা নিজেদেরকে বিরাট দল মনে করছে। এরকম একটা ভাইব তারা দেখাচ্ছে। এই দলটা তো আসলে ঐতিহাসিকভাবে জাতির ক্রান্তিলগ্নে স্টুপিড সিদ্ধান্ত নেয়। ‘স্টুপিড’ শব্দটা জেনেশুনে বলছি।

সম্প্রতি এক বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহেদ উর রহমান বলেন, জামায়াত পাকিস্তান সৃষ্টির সময় পাকিস্তানের পক্ষে ছিল না। ভারতের সঙ্গে ছিল ১৯৪৭-এ, অখণ্ড ভারত। ১৯৭১- এ এসে পাকিস্তান। মানে সবসময় ইতিহাসের ভুল পাশে, জনগণের উল্টো পাশে। ১৯৮৬-তে শেখ হাসিনার সঙ্গে গিয়ে এরশাদের নির্বাচন করেছে, করেনি? ২০০৮ সালে রীতিমতো না কি বিএনপিকে ফোর্স করে নির্বাচনে জামায়াত নিয়ে গেছে। এবার আবার মোটামুটি কিছুদিন সময় গেছে, ওদের আরেকটা ডিজাস্টার, ভুল করার সময় হয়েছে। মানে এ দলটা অদ্ভুত সব ভুল এবং তারা ইতিহাস থেকে কোনোদিন শিক্ষা নেয় না। কোনো একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে তারা মনে করে অনেক কিছু হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন যদি হয়, আমরা ধরেই নিতে পারি মোটামুটি পপুলার পারসেপশন- বিএনপি ক্ষমতায় যাবে। খেয়াল করেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাবে- এটা জামায়াত বা সবাই জানেও। দেখেন, বিএনপির সমালোচনা কী করে তারা? বিএনপি নির্বাচনের জন্য পাগল হয়ে গেছে। কারণ বিএনপি নির্বাচিত হয়ে চাঁদাবাজি করবে। তার মানে ও কিন্তু আবার এটা বলছে নির্বাচিত বিএনপি হচ্ছে। এটা ওই বলতেছে। আচ্ছা এখন সমস্যা যেটা হচ্ছে, বিএনপি যদি ক্ষমতায় যায়, প্রশাসনসহ সব জায়গায় তার একচ্ছত্র আধিপত্য নিশ্চিত হবে।

 কিন্তু এই মুহূর্তে সরকারে বিএনপিরও খানিকটা প্রভাব আছে, জামায়াতের প্রভাব আছে, এনসিপির প্রভাব আছে। নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে এই প্রভাব উবে যাবে। তো নির্বাচন চাইবে কেন? ও চাইবে নির্বাচন যত দেরিতে হোক। ইতিহাসে কোনোদিন জামায়াত রাষ্ট্রের উপরে, সরকারের উপরে এই প্রভাব বিস্তার করেছে? ২০০১ থেকে ২০০৬-এ দুজন মন্ত্রী দেওয়া হয়েছিল। দুটি মিনিস্ট্রিতে প্রভাব ছিল। এখন অসংখ্য জায়গায় তাদের প্রভাব।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *