বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ভিপি নূরের সাম্প্রতিক এক পোস্টে সরাসরি কারও নাম উল্লেখ না করলেও স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে যে, তিনি প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন (Elias Hossain)-এর দিকেই নিশানা করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এই বার্তায় নূর সাবলীল ভাষায় একজন ইউটিউবার ও প্রবাসী সমালোচককে উদ্দেশ্য করে তীব্র সমালোচনা করেছেন, যাকে তিনি ‘টাউট-ধান্দাবাজ’ এবং ‘অসভ্য-ইতর’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
নূরের মতে, ২০১৮ সাল থেকে ‘ফ্যাসিস্টরা’ দেশী-বিদেশী সংস্থার মাধ্যমে তাকে দমাতে পারেনি, অথচ একজন ‘প্রাতিষ্ঠানিক সুশিক্ষাবিহীন ইউটিউবার’ কেবল চটকদার ভিডিও বানিয়ে রাজনীতিকে হুমকির মুখে ফেলবে—এমন দাবিকে তিনি অবিশ্বাস্য ও বিকৃত মানসিকতার প্রতিফলন বলে অভিহিত করেন।
মূল পোস্টটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো:
ফ্যাসিস্টরা ২০১৮ থেকে দেশী-বিদেশী এজেন্সি লেলিয়ে শত চেষ্টা করে দমাতে/টলাতে পারেনি,আর একটা টাউট- ধান্দাবাজ, অসভ্য-ইতর ইউটিউবার যার না আছে প্রাতিষ্ঠানিক সুশিক্ষা, না আছে মূল্যবোধ, সে আমাদের রাজনীতি খেয়ে ফেলার প্রকাশ্যে হুমকি দেয়!
কি অদ্ভুত ক্ষমতার দাম্ভিকতা এদের ভাবা যায়?
চটকদার গল্পে রগরগা/টকটকা কথা মিলিয়ে রসিয়ে রসিয়ে কাটিং-সেটিং করে ভিডিও বানিয়ে তারা অন্যের রাজনীতি খেয়ে ফেলবে? কি বিকৃত মস্তিষ্ক আর কুযুক্তি নিয়ে থাকে এরা ভাবা যায়?
তো বাছাধন,
রাজনৈতিক নেতা,উপদেষ্টাসহ অনেকের বিরুদ্ধে তো ভিডিও বানিয়েছো? তাদের একটা লোম নাড়াতে পেরেছো? নাকি নিজে ইতর-অসভ্য থেকে জাতে উঠেছো?
আর এখন তো ফ্যাসিস্টরা ক্ষমতায় নেই, অ্যাসাইলামে আমেরিকা পালিয়ে না থেকে সৎসাহস, দেশপ্রম/ধর্ম প্রেম থাকলে দেশে আসো……
দেখা হবে রাজনীতির মাঠে, কথা হবে স্লোগানে-মিছিল-মিটিংয়ে, তর্ক হবে যুক্তিতে।
আর,
দেখা না দিলে, ভাইয়ো আমেরিকায় পালিয়ে থেকে কথা কইয়ো না।
তোমার ফালতু কথার রিপ্লাই দেয়ার সময় ও রুচি কোনটাই আমার নাই।
ছোট্ট রাজনীতির জীবনের ৩ টি ছবি,
এতটুকু রাজনীতি করতে অন্তত তোমার তিরিশ বছর লাগবে।