শ্বশুরের জায়গায় অন্য লোককে প্রতিষ্ঠা করলে মানুষ শ্রদ্ধার চোখে দেখত : দুদু

“শ্বশুরের জায়গায় অন্য কাউকে প্রতিষ্ঠা করা গেলে মানুষ শ্রদ্ধার চোখে দেখত।” এমন বক্তব্য দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু (Shamsuzzaman Dudu)। সম্প্রতি এক টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, কেবল শ্বশুর হওয়ার কারণে কাউকে গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত স্থানে বসানো হলে সেটি নেতার মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। অথচ যদি সেই পদে আত্মীয়তার বাইরে যোগ্য কোনো ব্যক্তিকে আনা যেত, তবে নেতা হিসেবে তা অনেক বেশি সম্মানের হতো।

আলোচনায় দুদু আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পথচলায় গণতন্ত্রের রূপান্তর এখন বড় প্রশ্নের মুখে। তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে উল্লেখ করেন— আমরা কি এই রূপান্তরের পথে হাঁটব, নাকি এটিকে ধ্বংস করব? তার মতে, গণতন্ত্রের বিকল্প হিসেবে যে ‘মব সংস্কৃতি’ তৈরি হয়েছে, তা কোনোভাবেই আইনসম্মত নয়। শুরু থেকেই বিএনপি এই মবতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং এর বিপক্ষে ধারাবাহিকভাবে ভূমিকা রেখে আসছে।

এসময় তিনি বর্তমান প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের দিকেও ইঙ্গিত করেন। দুদু বলেন, এখন প্রশাসনে আছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus)। তবে তিনি রাজনৈতিক নন, বরং বিশ্বজুড়ে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে যুক্ত একজন উদ্যোক্তা।

শামসুজ্জামান দুদু মনে করেন, এই সরকারের যদি সত্যিই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা থাকে, তবে প্রথম শর্ত হওয়া উচিত— জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। জনগণ নিজেরাই তাদের নেতা ও সরকার নির্বাচন করবে, সেটিই প্রকৃত গণতন্ত্রের প্রতিফলন। আর সেই প্রক্রিয়া শুরু হলেই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার একটি বাস্তব সম্ভাবনা তৈরি হবে।

বার্তা বাজার/এস এইচ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *