প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের লংমার্চে পুলিশের বাধা, শাহবাগে সংঘর্ষ

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের পথে যমুনা অভিমুখে যাত্রায় বাধা দেয় পুলিশ। এতে সংঘর্ষ বাধে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পাল্টা পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। তবে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম (Masud Alam) এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষার্থীরা ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে এসে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। তখন তাদের ঠেলে পেছনে সরানোর চেষ্টা করা হয়। “তাদের হালকা ওয়াটারগান ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। এরপর তারা শাহবাগ মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এসে পুনরায় অবস্থান নেয়,” তিনি জানান।

আজ বুধবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে শাহবাগে ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিসি মাসুদ আলম। তিনি বলেন, “বুয়েটসহ বিভিন্ন প্রকৌশল শিক্ষার্থী শাহবাগ মোড়ে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিল গতকাল ও পরশুদিন। যদিও এতে মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছিল, তবু আমরা তাদের উঠতে বলিনি। শুধু কয়েক দফা অনুরোধ করেছিলাম।”

নিরাপত্তা প্রশ্নে ডিসির বক্তব্য

ডিসি মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনকারীরা যদি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যেত, তবে পুলিশের পক্ষে আর কিছু করার থাকত না। “তাহলে তো আমাদের চাকরি করার দরকার থাকত না। রাষ্ট্র কিংবা সরকার বলত, তোমরা যদি নিরাপত্তা দিতে না পারো, তাহলে এই চাকরির কোনো মানেই নেই।”

এ সময় তিনি আরও বলেন, “বাধা দেওয়াতে যদি শিক্ষার্থীরা পদত্যাগ দাবি করে, তাহলে পদক্ষেপ নিলে তো দেশেই থাকা যাবে না।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *