চাঁদা না দেওয়ায় গণঅধিকার নেতার হাতে ইউপি চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা চত্বরে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনার জন্ম দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদের নেতার হাতে এক ইউপি চেয়ারম্যানের মারধরের অভিযোগ। বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে, যা মুহূর্তেই বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয়দের মাঝে আলোচনার ঝড় তোলে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, মুরাদিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ফোরকান মাতৃত্বকালীন ভাতার একটি কাজ নিয়ে মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কক্ষে অবস্থান করছিলেন। ঠিক সে সময় উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মুন্না জহির (Munna Zahir) নেতৃত্বে ৭-৮ জন যুবক সেখানে প্রবেশ করে। হঠাৎ করেই তারা হাফিজুর রহমানের ওপর চড়াও হয়ে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় ও কিলঘুষি চালায়। একপর্যায়ে তাকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে গিয়ে প্রকাশ্যে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থলে অন্য দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা দ্রুত সটকে পড়ে।

ঘটনার শিকার ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ফোরকান (Hafizur Rahman Forkan) অভিযোগ করে বলেন, মুন্না জহির কয়েকদিন ধরে দল চালানোর খরচের অজুহাতে তার কাছে চাঁদা দাবি করছিলেন। কিন্তু তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)-কে অবহিত করেছেন এবং শিগগিরই থানায় লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, চাঁদা দাবির অভিযোগ সাফ অস্বীকার করেছেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মুন্না জহির। তার দাবি, এলাকার একটি রাস্তার কাজে বিলম্ব ও অনিয়ম নিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়েছিল, তবে মারধরের অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’।

এ বিষয়ে দুমকি থানার ওসি মো. জাকির হোসেন (Md. Zakir Hossain) বলেন, “এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *