জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ (Mostafa Firoz) সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “সংস্কার হচ্ছে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদে, এমনকি নামও বদলাতে পারে।” তিনি জানান, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ বলতে মূলত এনসিপির ছাত্র সংগঠনকেই বোঝানো হচ্ছে। মহা আয়োজন ও দীর্ঘ মান-অভিমান শেষে মাত্র সাত-আট মাস আগে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হলেও, এখন সেখানে কোনো উত্তেজনা নেই, নেই সেই উন্মাদনাও।
মোস্তফা ফিরোজ বলেন, মূলত শুরুতেই ভুল সিদ্ধান্ত হয়েছিল। উদাহরণ টেনে তিনি উল্লেখ করেন নেপালের সাম্প্রতিক আন্দোলনের প্রসঙ্গ। সেখানে বড় ধরনের ছাত্র বিক্ষোভ হলেও, আন্দোলনকারীদের প্রস্তাব দেওয়া হয় সরকারে যোগ দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, “এটা আমাদের কাজ নয়, সরকার আপনারা চালান। তবে আমাদের আন্দোলনের দাবিগুলো মাথায় রাখতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি (Sushila Karki) কঠোর অবস্থান নিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন—যারা বিক্ষোভ করবে, সহিংসতা ছড়াবে, লুটপাট বা ভাঙচুর করবে, কিংবা চাঁদাবাজি করবে—তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। “এইটাই হচ্ছে আসল সরকার,” মন্তব্য করেন ফিরোজ।
নিজ দেশের পরিস্থিতি তুলনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের কী অবস্থা? কতদিন পর আবার ৩২ নম্বর ভাঙলো ইউনূস সাহেব। এরপর কী হলো? এখনো বিভিন্ন জায়গায় মব চলছে।” নেপালের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “দেখেন, নেপাল শুরুতেই মব শেষ করে দিয়েছে। সুশীলা কার্কি শেষ করেছেন। এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।”
অভিজ্ঞ এই সাংবাদিক আরও সতর্ক করে দিয়ে বলেন, নেতৃত্ব দেওয়া আর রাজনৈতিক দল করা—এই দুই বিষয় এক নয়। আন্দোলন করে জনসমর্থন আদায় করা এক জিনিস, আর দলের ভেতরে থেকে দায়িত্ব নেওয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন। “ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আর পদে পদে এর ফল বুঝতে পারবেন,” যোগ করেন তিনি।