সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর (Asaduzzaman Noor)–এর নামে থাকা চারটি ফ্ল্যাট, ১০ কাঠা জমি এবং ১৬টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এই আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. সাব্বির ফয়েজ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম।
ওইদিন আদালতে দুদকের পক্ষে আবেদন করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে অবিলম্বে সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেন।
এর আগে, গত ৩০ জুলাই আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ১৫৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকার বেশি অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুদক। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসাদুজ্জামান নূর ক্ষমতার অপব্যবহার করে পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ এক হাজার ১৯০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন, যা তিনি নিজ দখলে রেখেছেন।
এছাড়াও, তার নামে থাকা ১৯টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাবে ১৫৮ কোটি ৭৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক। এই লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে। যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং দুদক আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসাদুজ্জামান নূরের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে মোট ৮৫ কোটি ৭২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ টাকা জমা হয় এবং ৭৩ কোটি পাঁচ লাখ ৮১ হাজার ৩০৫ টাকা উত্তোলন করা হয়। এসব অর্থের উৎস সম্পর্কে কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দুদক।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে নিজের বাসা থেকে আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন এবং বর্তমানে মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।