ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (Fayzul Karim) স্পষ্ট করে বলেছেন, দেশের রাজনীতিতে এখন পিআর বা প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন ছাড়া বিকল্প নেই। তাঁর ভাষায়, “যাঁরা বলেন ‘পিআর খায় না, মাথায় দেয়’, তাঁরা আসলে পুরোনো বন্দোবস্তকেই টিকিয়ে রাখতে চান। যারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর দখলদারির রাজনীতি চালাতে চায়, তারাই পিআরের বিরোধিতা করছে। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষ পুরোনো ব্যবস্থার পরিবর্তন চায়। সাধারণ জনতা পিআর চায়। যাঁরা পিআর বোঝেন না, তাঁরা শেষ পর্যন্ত রাজনীতি থেকে ছিটকে যাবেন।”
গতকাল বুধবার রাজধানীর আজিমপুরে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মুহাম্মদ ফয়জুল করীম আরও বলেন, রাষ্ট্রের মূল দায়িত্ব হলো জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমকে রক্ষা করা। দুর্বলের অধিকার সংরক্ষণই হবে রাষ্ট্রের ভিত্তি। কিন্তু গত ৫৪ বছরে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে, তারা রাষ্ট্রকে জুলুমের যন্ত্রে পরিণত করেছে এবং গরিব-দুঃখী মানুষের ওপর অব্যাহতভাবে অত্যাচার চালিয়েছে। তিনি মনে করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে এখন একটি সুযোগ এসেছে রাষ্ট্রকে নতুন করে নির্মাণ করার। এমন রাষ্ট্র গড়তে হবে যা মজলুমের পক্ষে দাঁড়াবে, ক্ষুধার্তের খাবারের ব্যবস্থা করবে, বস্ত্রহীনের জন্য বস্ত্র ও আশ্রয়হীনের জন্য আশ্রয় নিশ্চিত করবে। আর সেই রাষ্ট্র নির্মাণের পথ হলো আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে আয়োজন করা।
ভোটের আহ্বান জানাতে গিয়ে ফয়জুল করীম বলেন, “আমরা হাতপাখা মার্কায় ভোট চাই। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাই, যেখানে কোনো মানুষ ক্ষুধার যন্ত্রণা ভোগ করবে না, কেউ খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাবে না। কোনো নাগরিক জুলুমের শিকার হবে না, আর কাউকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হবে না।”
এ সময় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতেয়াজ আলম, মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক কে এম শরীয়াতুল্লাহ, যুবনেতা ইলিয়াস হাসান ও ছাত্রনেতা ইমরান হোসেন নুরসহ মহানগর ও থানার শীর্ষ নেতারা।