জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP)–এর জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও রাজনৈতিক পর্ষদের সদস্য আবদুল হান্নান মাসউদ জীবনের নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছেন। নীরব আয়োজনের মধ্য দিয়ে তিনি বাগদান সম্পন্ন করেছেন বাগছাস নেত্রী শ্যামলী সুলতানা জেদনী-র সঙ্গে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে জেদনীর বাসভবনে ঘনিষ্ঠ পারিবারিক সদস্য এবং বন্ধুদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় এই বাগদান। পুরো আয়োজন ছিল অনেকটা ব্যক্তিগত, তবে মাসউদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ঘটনার পরদিন শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) হান্নান মাসউদ সৌদি আরবের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেছেন। সেখানে তিনি এক সপ্তাহেরও বেশি সময় অবস্থান করবেন। অবস্থানকালে তিনি পবিত্র ওমরা সম্পাদন করবেন এবং পাশাপাশি দলীয় কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।
শ্যামলী সুলতানা জেদনীর বাড়ি লক্ষীপুরে। তিনি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য (সংগঠক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি বাগছাসের মিডিয়া সেলের সহ-সম্পাদক হিসেবেও তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
অন্যদিকে, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় জন্ম নেওয়া হান্নান মাসউদ বাংলাদেশের তরুণ রাজনীতিতে দ্রুত উদীয়মান একটি নাম। ২০২৩ সালে তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির মাধ্যমে, যা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আখতার হোসেন ও নাহিদ ইসলাম। পরবর্তীতে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনে আসেন তিনি।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করা জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিয়ে বর্তমানে তিনি দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও রাজনৈতিক পর্ষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার এই বাগদান রাজনৈতিক মহলসহ ঘনিষ্ঠদের মধ্যে ইতিমধ্যেই আলোচনার জন্ম দিয়েছে।