সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি (Golam Maula Rony) সাম্প্রতিক এক ঘটনায় গভীর প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর ভাষ্যে, ঢাকার রূপায়ণ টাওয়ারে অবস্থিত এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের শত শত নেতাকর্মী হঠাৎ করে মিছিল বের করেন। সেখানে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার’—এমন সব স্লোগান ছাড়াও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ঢাকঢোল বাজিয়ে নাচ ও উল্লাস চলে।
গোলাম মাওলা রনি মনে করিয়ে দেন, মাত্র কিছু সপ্তাহ আগেই বঙ্গবন্ধু ভবনের (৩২ নম্বর) সামনে ছাত্রলীগ দাঁড়ানোরও সুযোগ পায়নি। ১৫ আগস্টের দিনে আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মী-সমর্থকদেরও ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অথচ সেই একই ছাত্রলীগ এবার হঠাৎ সাহসী ভঙ্গিতে এনসিপির দোতলা জুড়ে বিস্তৃত রাজকীয় কার্যালয়ের সামনে ভিড় জমাল। এই দৃশ্যকে তিনি স্বাভাবিক নয় বলে মন্তব্য করেন। তাঁর প্রশ্ন—“এই মিছিল কার ইশারায় হলো, কার অনুমতিতে হলো, আর এর পেছনে কার উদ্দেশ্য কাজ করছে?”
তিনি বলেন, রূপায়ণ টাওয়ারের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা ও ব্যবস্থাপনা অনন্যসাধারণ, যেখানে নেতাদের জন্য নির্ধারিত আসন ও সুযোগ-সুবিধা রাজকীয় পর্যায়ের। ফলে, এই কার্যালয়কে ঘিরে যেমন প্রশংসা আছে, তেমনি তীব্র সমালোচনাও শোনা যায়। অফিসের সামনে প্রতিনিয়ত নেতাকর্মীদের ভিড় লেগেই থাকে।
গোলাম মাওলা রনি আরো বলেন, “যেখানে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী ১৫ আগস্ট দাঁড়াতে পারেনি, এমনকি সাধারণ মানুষ বা নারীরা গিয়েও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে—সেখানে হঠাৎ সেপ্টেম্বর মাসে কী এমন পরিবর্তন ঘটল যে, নিউ মার্কেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা গুলিস্তান নয়—বরং সরাসরি এনসিপির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শত শত ছাত্রলীগ কর্মী দাঁড়িয়ে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিল, নাচগান করল, তারপর যেন কিছুই হয়নি এমন ভঙ্গিতে চলে গেল?”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঢাকায় সাম্প্রতিক সময়ে হঠাৎ করে যে মিছিল-মিটিং বেড়ে গেছে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নামে যেগুলো হচ্ছে, সেখানে অংশগ্রহণকারীদের অনেককেই তাঁর কাছে অপরিচিত মনে হয়েছে। তাদের চেহারায় আওয়ামী লীগের প্রচলিত পরিচিতি পাওয়া যায় না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।


