জামায়াতে ইসলামীর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কবির আহমদ (Kabir Ahmed) দাবি করেছেন, যদি জামায়াত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে, তবে নারীরা কেবল নারীদের সামনে নাচতে পারবেন, পুরুষদের সামনে নয়। তার ভাষ্য অনুযায়ী, এতে কোনো সমস্যা নেই, তবে পুরুষদের জন্য নারীদের নৃত্য উপভোগের সুযোগ সীমিত থাকবে।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি জোর দিয়ে বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে শরীয়াহ আইন কার্যকর করা হবে। তার দাবি, বিদ্যমান আইন তখন অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়বে এবং ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার অধীনে নাগরিকরা আরও বেশি অধিকার ভোগ করবেন।
নারীদের অবস্থান নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, নারীরা শরীয়াহ অনুসারে নিজেদের ইচ্ছেমতো চলাফেরা করতে পারবেন। তার দাবি, শরিয়া আইন চালু হলেও ইসলামী রাষ্ট্রে নারীদের বোরকা পরার কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না। তার ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বোরকা পরা হবে ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়—কেউ চাইলে পরবেন, না চাইলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে না। অন্য ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রেও বোরকার কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
কবির আহমদ বলেন, ইসলামী শরীয়তের নিয়ম নারীদের জানিয়ে দেওয়া হবে, এরপর তা মেনে চলা তাদের ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। তিনি দাবি করেন, দেশে অনেক ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে আছে। সেই প্রসঙ্গে একটি অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে তিনি জানান, গাজী টিভির টকশোতে যোগ দিতে গিয়ে লিফটে ওঠার সময় এক নারী কর্মকর্তা তাকে বলেছিলেন, যেহেতু তিনি নারী, পুরুষরা যেন তার দিকে তাকাতে না পারেন। এর উত্তরে তিনি নিজের মেয়ের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ইসলাম নারীদের কাজ বা বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ করেনি। তার দাবি, ইসলাম নারীদের সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা দিয়েছে।
নারীদের নাচ নিয়ে আবারও বক্তব্যে তিনি বলেন, নারীরা নারীদের মাঝে নাচলে কোনো সমস্যা নেই। যারা নাচ শিখবেন, তারা শালীনতার মধ্যে থেকে তা শিখবেন ও করবেন। তবে পুরুষদের জন্য নারীদের নাচ দেখার সুযোগ থাকবে না। তিনি আরও বলেন, “অনেকে মনে করেন জামায়াত ক্ষমতায় এলে ভোর থেকেই নারীরা ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।”