জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) NCP এবং নাগরিক ঐক্য-এর মধ্যে শাপলা প্রতীক ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্ক দেখা দিয়েছে। যদিও নাগরিক ঐক্য এর আগেই নির্বাচন কমিশনে শাপলা প্রতীক চেয়েছিল, পরে কমিশন তাদের সেই প্রতীক দেয়নি। অন্যদিকে এনসিপি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার সময় শাপলা প্রতীক দাবি করে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে—প্রতীক হিসেবে শাপলা তাদের বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়। তবুও এনসিপি শাপলা প্রতীক পাওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থান বজায় রেখেছে।
এ নিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না (Mahmudur Rahman Manna) বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, “শাপলা প্রতীক যদি তাদের (এনসিপি) দিয়ে দেয়, কোনো মামলা করব না।” তবে রাতে তিনি পোস্টটি এডিট করে যোগ করেন, “কোনো মামলা করব না, কিন্তু প্রতিবাদ তো করব। আমরা যেহেতু আগে আবেদন করেছি; যদি প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেটা নাগরিক ঐক্যের প্রাপ্য।”
মান্নার পোস্টে এই পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে নানা সমালোচনা ছড়িয়ে পড়ে। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকার পোস্টটির এডিট হিস্ট্রি শেয়ার করে লেখেন, “উপরের চাপ বলে একটা জিনিস আছে, যেটা এখনও এক্সিস্ট করে।”
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে মান্না তাঁর ফেসবুক পোস্টে আরও লিখেছিলেন, “আমাকে যদি জাতীয় প্রতীকের কারণে শাপলা না দেওয়া হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন আর কাউকে দিতে পারে না। ওরা (এনসিপি) আমার কাছে এসেছিল। যারা জুলাই অভ্যুত্থান করেছে, তাদের বয়স ও অভিজ্ঞতার কারণে এবং শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ উৎখাতের কথা বিবেচনা করে আমি তাদের প্রতি দরদী। শাপলা প্রতীক যদি তাদের দিয়ে দেয়, আমি একটা অঙ্গীকার করতে পারি আমি কোনো মামলা করব না।”
কিন্তু রাতেই পোস্টটি এডিট করে তিনি ‘প্রতিবাদ’ যুক্ত করেন এবং দাবি করেন নাগরিক ঐক্য যেহেতু আগে আবেদন করেছে, তাই শাপলা প্রতীক তাদের প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, এনসিপি নিবন্ধনের আবেদনের সময় থেকেই শাপলা প্রতীক চেয়ে আসছিল। তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শাপলা প্রতীক কাউকে দেওয়া সম্ভব নয়।