‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (Bangladesh Jamaat-e-Islami)। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ (Hamidur Rahman Azad) জানিয়েছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তি হিসেবে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে বিএনপি (BNP)-সহ সব রাজনৈতিক দলই একমত হলেও জামায়াত চায়, ভোটটি জাতীয় নির্বাচনের আগেই অনুষ্ঠিত হোক।
রোববার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর চতুর্থ দিনের আলোচনার বিরতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনার মূল বিষয় ছিল জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান–সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া।
নির্বাচনের আগে গণভোটের প্রস্তাব
গণভোট কবে হতে পারে—এমন প্রশ্নে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “জনগণ এখনো গণভোটে অভ্যস্ত নয়। তাই জাতীয় নির্বাচনকে জটিল না করে নভেম্বর বা ডিসেম্বরে গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে, এমনকি তফসিল ঘোষণার আগেও সম্ভব। যদি গণভোট সম্পন্ন হয়, তাহলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন কোনো বাধা ছাড়াই হতে পারে। আমরা চাই, জাতিকে কোনো জটিল অবস্থায় না ফেলে সহজভাবে এগোনো হোক—তাহলেই সবাই বাঁচবে, দেশও বাঁচবে।”
তিনি আরও বলেন, “গণভোট হলে সেটি কেউ চ্যালেঞ্জ করলেও টিকবে না। সংসদও সেই গণরায় প্রত্যাখ্যান করতে পারবে না।”
জনগণের রায়ই চূড়ান্ত
গণভোটের ফলাফল বিরূপ হলেও তা মেনে নেওয়ার প্রস্তুতির কথা জানিয়ে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “গণভোটের রেজাল্ট যদি আমাদের বিপক্ষেও যায়, আমরা সেখানেই ছাড় দেব। জনগণের সিদ্ধান্তকেই আমরা মেনে নেব, এতে কোনো আপত্তি থাকবে না।”
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা
এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত নেতা বলেন, “গণভোট আগে না পরে হবে, সেটি এখনো আলোচনাযোগ্য। তবে সবাই গণভোটের পক্ষে একমত হয়েছে। গণভোট আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সরকারের পক্ষ থেকে কমিশনকে একটি স্পষ্ট নির্দেশনা দিতে হবে, এরপরই তারা গণভোট আয়োজন করতে পারবে।”
আলোচনার সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান এবং দলের আইনজীবী শিশির মনির।