গত হজ মৌসুমে ব্যয় না হওয়া মোট ৩৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা হাজিরা ফেরত পাবেন না বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন (Dr. A. F. M. Khalid Hossain)। সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে হজ সংক্রান্ত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।
ধর্ম উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, “এই টাকা হাজিদের নয়, বরং ৮৩১টি এজেন্সিকে ফেরত দেওয়া হবে। কারণ, হজ ব্যবসায়িক স্বার্থে ওই এজেন্সিগুলো প্রয়োজনের তুলনায় বেশি টাকা পাঠিয়েছিল। সৌদি সরকার সেই উদ্বৃত্ত অর্থ ফেরত দিয়েছে।”
এ সময় তিনি জানান, ২০২৬ সালের পবিত্র হজের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশি নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। তবে নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানোর সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। খালিদ হোসেন বলেন, “আগামী ১৪ তারিখে আমাদের সৌদি সরকারের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। আশা করছি, আমরা নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে তাদের কাছে আবেদন জানাতে পারব এবং ইতিবাচক সাড়া পাব।”
একইসঙ্গে তিনি আরও জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কওমি মাদরাসার দাওরা হাদিস সনদধারীদের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “হেফাজতে ইসলাম (Hefazat-e-Islam)” সংগীত শিক্ষকের পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছে। বিষয়টি বর্তমানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পর্যালোচনাধীন।
‘সেফ এক্সিট’ প্রসঙ্গেও কথা বলেন তিনি। স্পষ্ট কণ্ঠে বলেন, “আমার কোনো অপরাধ নেই। আমি কোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি করিনি বা কাউকে চুরি করতে সহায়তা করিনি। আমার কোনো সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই। আমি এ দেশের নাগরিক, এখানেই থাকব।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে, যেখানে আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে উপদেষ্টারা ‘আঁতাত’ করছেন বা ‘সেফ এক্সিট’-এর পথ খুঁজছেন—এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, “আমরা দেশ থেকে পালাব কেন? আমার ঢাকায় কোনো বাড়ি নেই, চট্টগ্রামেও নেই। আমি সেফ এক্সিট নিয়ে বাইরে গিয়ে রাস্তায় শুয়ে থাকব কেন? এই দেশটাই আমার। আমরা যদি একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে পারি, সেটিই আমাদের জন্য বড় সফলতা ও কৃতিত্ব।”
বার্তা বাজার/এস এইচ