জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP)–র মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেছেন, দলের ভেতরে অনুপ্রবেশ ঘটেছে বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যদের, যাদের কেউ কেউ ‘গুপ্তচর’ হিসেবে প্রবেশ করে এনসিপির ভেতরে ‘স্যাবোটাজ’ বা অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত এনসিপির এক সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন। সভাটি অনুষ্ঠিত হয় এনসিপির ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) ও ঢাকা জেলা শাখার নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আমরা আবারও এক ধরনের ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ২০২৪, ২০১৮ এবং ২০১৪ সালের যে বিতর্কিত নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেই ইতিহাস আমরা পুনরায় দেখতে চাই না। কিন্তু যেভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে, জাতি আরেকটি প্রি–ইঞ্জিনিয়ার্ড নির্বাচনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।”
জুলাই অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে দেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণরা এখন রাজনৈতিক দল এনসিপি গঠন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ সময় হাসনাত অভিযোগ করেন, “এখন সচিবালয়ে বসেই ডিসিদের ভাগাভাগি চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে। কেউ বলছে, চট্টগ্রামের ডিসি আমি নেব; আবার কেউ বলছে, উত্তরবঙ্গের দুটি ডিসি আমাকে ছাড়তে হবে। যদি রংপুরের ডিসি ছাড়ি, তাহলে অন্য কোনো জেলার ডিসি নিতে হবে।”
তার বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, নির্বাচনের আগেই প্রশাসনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভাগাভাগির প্রবণতা আবারও মাথাচাড়া দিচ্ছে। এনসিপির পক্ষ থেকে এই পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।


