আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যখন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)সহ তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে, ঠিক তখনই সেই তালিকায় নিজের দলের নাম না দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন ‘আমজনতার দল’-এর সদস্য সচিব তারেক রহমান। নিবন্ধন না পাওয়ায় তিনি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রধান ফটকের সামনে আমরণ অনশনে বসেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ নির্বাচন ভবনে দল নিবন্ধন সংক্রান্ত ব্রিফিং শেষ করার পর বিকেল চারটার দিকে প্রধান ফটকের সামনে বসেন তারেক রহমান। হাতে লেখা একটি প্ল্যাকার্ডে তিনি লিখেছেন—“আমাদেরও রাজনৈতিক অধিকার চাই।”
অনশনে বসে তিনি বলেন, “আমাদের দলের নিবন্ধন হয়নি, তাই এখানে বসেছি। এখন আমরা কোর্টে যাবো না কি করবো জানি না, মাথা কাজ করে না। উনারা (ইসি) কি চান, সেটা বলেন না, আমরা বুঝিও না। এদের কাছে গেলে পিএস দিয়ে বিদায় করে দেয়, বলে—স্যার নিবন্ধন নিয়ে কোনো কথা বলবে না।”
ক্ষোভ প্রকাশ করে তারেক রহমান আরও বলেন, “আমাদের যেসব শর্ত দিয়েছে, আমরা চেষ্টা করেছি পূরণ করতে। কিন্তু আমরা ছোট দল—এত টাকা কোথায় পাবো? আমাদের টিনের ঘর, বেড়ার ঘর নাকি পছন্দ হয়নি তাদের! তাই রিজেক্ট করলো।”
ইসির ঘোষণায় তিনটি দল—জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি—নিবন্ধনের তালিকায় এসেছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তারেক বলেন, “ডেসটিনি কবে থেকে রাজনীতি করছে বলেন? জেল থেকে এসে আবার যেন জেলে যেতে না হয়, তাই দল খুলেছে। তাদের নিবন্ধন দিল। আমরা রাজনীতি করি, কিন্তু আমাদের ভালো লাগছে না। আমাদের তো টাকা নাই। ডেসটিনি কোম্পানিকে তালিকায় রেখেছে—এইটাই এদের কোয়ালিটি। এমএলএম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এদের যোগসাজশ।”
অনশনের মেয়াদ ও পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আছি এখানে। আর কোনো পদক্ষেপ নাই। অনশনে আছি যতক্ষণ না সমাধান হচ্ছে, যতক্ষণ দম আছে।”
তারেক রহমানের এই অনশন এখন ইসির সামনে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি কাড়ছে। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে—নিবন্ধন প্রক্রিয়া কি সত্যিই স্বচ্ছ ও সমান সুযোগসুবিধার ভিত্তিতে হচ্ছে?


