“এক স্বৈরাচার গেছে, আরেক স্বৈরাচার ঘাড়ে চেপেছে”—আমজনতার দলের তারেক রহমানের স্ত্রী

শেখ হাসিনার শাসনামল এবং বর্তমান সরকার—এই দুইয়ের মধ্যে কোনো মৌলিক পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন আমজনতার দল (Aam Janatar Dal)-এর সাধারণ সম্পাদক মো. তারেক রহমানের স্ত্রী। সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন, যেখানে ধ্বনিত হয় হতাশা, ক্ষোভ এবং রাজনীতির প্রতি এক গভীর অসন্তোষ।

তার কথায়, “আমার মনে হয় শেখ হাসিনার আমল আর এই আমলের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। এক স্বৈরাচার গেছে, আরেক স্বৈরাচার ঘাড়ে চেপে বসছে।” এই ভাষ্য যেন প্রতিফলিত করে দেশের রাজনীতি ঘিরে সাধারণ মানুষের মাঝে জন্ম নেওয়া অস্থিরতা ও দুর্ভাবনা।

হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমরা যে বাংলাদেশের স্বপ্নটা দেখেছিলাম, সেই বাংলাদেশটা আমরা পাইনি। আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম শেষ হয়নি, হয়তো আমাদের সন্তানেরাও এই আন্দোলন করতে থাকবে।”

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন (Election Commission) তিনটি দল—জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) এবং বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি-কে নিবন্ধন দিলেও বাদ পড়ে যায় আমজনতার দল।

এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে দলটি। একই দিন বিকেলে নির্বাচন কমিশনের মূল ফটকে আমরণ অনশনে বসেন আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক মো. তারেক রহমান। তার এই অবস্থান ও তার স্ত্রীর বক্তব্য—দুই মিলেই রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

তারেক রহমানের স্ত্রী মনে করেন, এই সরকারের আচরণ শেখ হাসিনার সরকারের প্রতিচ্ছবিই বহন করছে। তার মতে, জনগণের ভোটাধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা যেভাবে বারবার উপেক্ষিত হচ্ছে, তাতে করে এ দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও আন্দোলনের পথেই হাঁটতে হবে।

বর্তমানে নির্বাচন কমিশন থেকে দলীয় নিবন্ধন না পাওয়া দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সরব প্রতিবাদ আমজনতার দলের। এ দলটির দাবি, তাদের আবেদন রাজনৈতিক কারণে বাতিল করা হয়েছে। আর সেই বাস্তবতা থেকেই দলীয় নেত্রীর এ ধরনের মন্তব্য দেশীয় রাজনীতির ক্ষুব্ধ ও হতাশ জনস্রোতের প্রতিধ্বনি বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *