জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে শঙ্কার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল (Asif Nazrul)। তিনি জানান, সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর, এবং নির্বাচন বিলম্বিত করার কোনো ইস্যু নেই।
রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে রাজশাহী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, “অবশ্যই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যা যা করা দরকার, সরকার তা করবে।” তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য বা সরকারের ওপর প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যে নানা মন্তব্য করছে—যার কিছু হয়তো সত্য, তবে এসব বক্তব্যের কারণে জনগণের মধ্যে অযথা শঙ্কা তৈরি হয়।
তিনি আরও বলেন, “১৬-১৭ বছর ধরে নির্বাচনের অনিশ্চয়তা দেখেছে মানুষ। এ কারণে কিছুটা শঙ্কা থাকা স্বাভাবিক। প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ কখনও ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি—তাদের কাছে এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” আসিফ নজরুলের মতে, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ অধীর আগ্রহে নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে, এবং তাদের মাঝে ইতিমধ্যেই নির্বাচনী উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে।
জামিন প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা জানান, “জামিন দেওয়া শুধু বিচারকের একক সিদ্ধান্ত নয়, পুলিশের রিপোর্টের ওপরও তা নির্ভর করে। ভিডিও ফুটেজ বা কণ্ঠ প্রমাণের ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম হতে পারে। তবে যেখানে জামিন পাওয়ার যোগ্যতা আছে, সেখানে অবশ্যই জামিন পাওয়া উচিত।” তিনি আরও বলেন, “কিন্তু যারা জামিন পেয়ে পুনরায় একই ধরনের অপরাধ করতে পারে বা নিষিদ্ধ সংগঠনের হয়ে কাজ করতে পারে—তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জামিন যদি হয়, আমরা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন হব।”
বিচারখাতে সংস্কারের বিষয়েও তিনি বক্তব্য রাখেন। আসিফ নজরুল জানান, আদালতের কার্যক্রম গতিশীল করতে সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। “একজন বিচারকের জায়গায় তিনজন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যাতে মামলার জট কমে,” বলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এসব উদ্যোগের সুফল খুব শিগগিরই জনগণ পাবে।
