সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ অবশেষে দেশ ছেড়েছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ১১ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি। নিজেই ফেসবুক পোস্টে চেক-ইন ও ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্সের অপেক্ষার কথা জানান।
পরবর্তীতে রাত ৩টা ৩৪ মিনিটে বিমানের ভেতর থেকে যাত্রীদের সঙ্গে একটি সেলফি পোস্ট করেন সোহেল তাজ। বুধবার সকাল ১০টা ৫৭ মিনিটে আরও একটি পোস্টে জানান, তিনি দোহা হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন এবং সেখান থেকে তিন ঘণ্টার ট্রানজিট শেষে যুক্তরাষ্ট্রগামী ১৫ ঘণ্টার ফ্লাইটে উঠবেন।
সেই পোস্টে তিনি লেখেন, “এই বিমানবন্দর দিয়ে আমি গত ১৫ বছর যাতায়াত করেছি। সেই সময় এই বিমানবন্দরটি ঢাকা এয়ারপোর্টের থেকেও ছোট ছিল। আর এখন পৃথিবীর ব্যস্ততম এবং সেরা বৃহৎ এয়ারপোর্টের কাতারে।”
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে সোহেল তাজ তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আমেরিকা সফরের কথা ঘোষণা দিয়ে লেখেন, “মগের মুল্লুক হতভাগা একটা দেশ, খেলোয়াড় পরিবর্তন হয়। কিন্তু খেলা একই থেকে যায়। আজকে রাতে আমি হাইকোর্টের আদেশ নিয়ে আমেরিকার পথে যাত্রা করব, দেখা যাক আবার কী হয়। সব কিছু জানাব।”
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে আটকে দেওয়া হয়েছিল সোহেল তাজকে। সে সময় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ‘ভ্রমণরোধ’ থাকায় তাঁকে দেশত্যাগ করতে দেওয়া হয়নি।
এ ঘটনার পর সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তিনি বিদেশগমনের অনুমতি পান এবং হাইকোর্টের আদেশে এবার যাত্রা করতে সক্ষম হলেন।
সোহেল তাজ সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে ও মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি তাজউদ্দীন আহমেদের পুত্র। একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন এবং জনস্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে যুক্ত।


