জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একযোগে আয়োজনের সিদ্ধান্তকে ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ঝুঁকির মুখে ফেলেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন মাওলানা মামুনুল হক (Maulana Mamunul Haque)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মামুনুল হক বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে একই প্রশ্নপত্রে চারটি ভিন্ন অংশ রেখে গণভোটের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে, যা জনগণকে বিভ্রান্ত করবে। এতে গণভোটের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তার ভাষায়, দলীয় প্রতীকে আয়োজিত জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গুরত্বপূর্ণ গণভোট একত্রে হলে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরে যাবে। গণভোটের প্রশ্নগুলো নিয়ে যে গভীর মনোযোগ ও সচেতনতা প্রয়োজন, তা হারিয়ে যাবে। ফলে এটি ‘ভোটারদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণভোটের গ্রহণযোগ্যতার ওপর সরাসরি আঘাত’ বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (Bangladesh Khelafat Majlish)–এর আমির মামুনুল হক আরও বলেন, এই পন্থা চলমান রাজনৈতিক আন্দোলনের অর্জনকে নস্যাৎ করতে পারে। তিনি মনে করিয়ে দেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তারা যদি “জুলাই সনদের” বাস্তবায়ন ও স্বতন্ত্র গণভোটের যে দাবি উঠেছে, তা উপেক্ষা করে, তাহলে তা হবে সেই অভ্যুত্থানের ‘আদর্শ ও সাংবিধানিক স্বীকৃতির পরিপন্থী এক দুঃখজনক পদক্ষেপ’।
তিনি আরও জানান, দলীয় ফোরাম এবং চলমান আন্দোলনে যুক্ত আট দলের জোটের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।


