বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP) আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম দুই ধাপে মোট ২৭২টি আসনে তাদের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে এখনো বাকি রয়েছে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮টি আসন। এই আসনগুলো নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা আলোচনা, বিশেষ করে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিএনপির শরিক দলগুলোকে ঘিরে। গুঞ্জন আছে, এই বাকি আসনগুলোর মধ্যে ১৪ থেকে ১৫টি দেওয়া হতে পারে জোটের শরিকদের।
আলোচনায় উঠে এসেছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নাম ও আসন—যেখানে বিএনপির পরিবর্তে শরিক দলের হেভিওয়েট নেতারা নির্বাচন করতে পারেন।
- **ঢাকা-১৩ এনডিএম (NDM) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।
- ঢাকা-১৭: বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (BJP)-র নেতা আন্দালিব রহমান পার্থ।
- বগুড়া-২: নাগরিক ঐক্য-এর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
- চট্টগ্রাম-১৪: এলডিপি-র সভাপতি কর্নেল অলি আহমেদের ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক।
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬: গণসংহতি আন্দোলন-এর প্রধান জোনায়েদ সাকি।
- পটুয়াখালী-৩: গণঅধিকার পরিষদ-এর সভাপতি নুরুল হক নূর। বিএনপি এখানকার প্রার্থী এখনো ঘোষণা করেনি, তবে অনেকের ধারণা, শেষ পর্যন্ত এই আসনটি নূরকেই দেওয়া হতে পারে।
- ঝিনাইদাহ-২: গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
- পিরোজপুর-১: জাতীয় পার্টি (জেপি)-র চেয়ারম্যান মোস্তফা জালাল হায়দার।
- লক্ষ্মীপুর-১: বাংলাদেশ এলডিপি-র চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম।
এই নয়টি আসনের বাইরে চট্টগ্রাম ও যশোরের একটি করে আসন সহ আরও ২-৩টি আসনে জোটের নেতাদের প্রার্থীতা দেওয়া হতে পারে বলে আলোচনা রয়েছে।
সূত্র জানায়, এসব আসন নিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে একটি চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করার চেষ্টা করছে বিএনপি। তবে সমঝোতা ব্যর্থ হলে দলের পক্ষ থেকে স্থানীয় নেতাকর্মীদের বার্তা দিয়ে রাখা হয়েছে—তখন বিএনপি নিজের প্রার্থী দিয়েই ওই আসনগুলোতে নির্বাচন করবে।
সাংগঠনিক দিক দিয়ে শক্তিশালী এবং যুগপৎ আন্দোলনে প্রভাবশালী ভূমিকা রাখা শরিকদের মধ্যে অনেকে চাচ্ছেন, স্বীকৃতি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আসনে প্রার্থীতা। ফলে এসব আসনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত টানাপড়েন চলবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।


