অথর্ব নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়—এমন স্পষ্ট মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম (Nahid Islam)। তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম ও অবস্থান দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ (Inkilab Mancha) আয়োজিত ওসমান হাদিকে হ’\ত্যা’\চে’\ষ্টার সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, আজ আমরা এখানে একটি সুস্পষ্ট বার্তা দিতে সমবেত হয়েছি। সেই বার্তা হলো—বাংলাদেশ এবং জুলাই বিপ্লবীরা ঐক্যবদ্ধ। ওসমান হাদির শরীরে গু’\লি লাগার মাধ্যমে কেবল একজন ব্যক্তি নয়, পুরো জুলাই বিপ্লবই আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ যতবার আক্রান্ত হয়, তরুণ সমাজ ততবার রাজপথে নেমে আসে।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি উঠেছে। নাহিদ ইসলামের ভাষ্য অনুযায়ী, নৈতিক দিক বিবেচনায় তিনি আর এই দায়িত্বে থাকার যোগ্য নন। ৫ আগস্টের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। বরং পরিকল্পিতভাবে জুলাই বিপ্লবীদের টার্গেট করা হচ্ছে, যা গভীর উদ্বেগের বিষয়।
বক্তব্যের একপর্যায়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, আগামীকাল বিজয় দিবস। এই বিজয়ের প্রাক্কালে বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাস আমাদের নতুন করে পর্যালোচনা করতে হয়। ১৬ ডিসেম্বর যেমন আমরা বিজয় অর্জন করেছি, তেমনি সেদিন থেকেই আমাদের প্রতিরোধের যাত্রাও শুরু হয়েছিল। সেই প্রতিরোধ ছিল ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। ইতিহাসের সেই ধারাবাহিকতায় আজও আমাদের প্রতিরোধের যাত্রা অব্যাহত রাখতে হচ্ছে। তিনি জানান, আগামীকাল দেশজুড়ে রাস্তায় নেমে প্রতিরোধের নতুন অধ্যায় শুরু করবেন তারা এবং ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবেন।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ভারত যদি মনে করে ৫ আগস্টের পরেও তারা আগের মতো বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে, নির্বাচনে কারচুপি করবে, তাহলে সেই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। তার মতে, ওসমান হাদির ওপর গু’\লি’\র ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। নির্বাচন কমিশনারের সাম্প্রতিক বক্তব্যের পর তার এই পদে থাকার আর কোনো নৈতিক অধিকার নেই। এমন একজন নির্বাচন কমিশনারের অধীনে আদৌ কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি না—সে প্রশ্ন জাতির সামনে রয়ে গেল।
শেষে তিনি বলেন, আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনার অবিলম্বে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন। কারণ এই অথর্ব নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনই গ্রহণযোগ্য বা সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়।


