নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও’\স’\মা’\ন হা’\দির ওপর হা’\মলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique Rahman)। তিনি বলেন, যাদের নির্বাচনের প্রয়োজন নেই, যারা অন্তর্বর্তী সরকারকে স্থায়ীভাবে টিকিয়ে রাখতে চায়, তারাই এ ঘৃণ্য হা’\মলার পেছনে লুকিয়ে আছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টায় কারা খুশি হয়? নির্বাচন ছাড়াই অন্তর্বর্তী সরকার বহাল থাকলে কারা লাভবান হয়? জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে কে লাভে থাকে?”—এই প্রশ্নগুলোর উত্তরেই, তার ভাষায়, হা’\দির ঘা’\ত’\কেরা লুকিয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতাকামী গণতান্ত্রিক জনগণের শত্রুরা এ সব প্রশ্নের উত্তরের মধ্যেই নিজেদের লুকিয়ে রেখেছে। যারা স্বাধীনতাকামী জনগণকে ভয় দেখাতে চায়, তারা সফল হবে না। কারণ মানুষের জয়-পরাজয়, জীবন-মৃত্যু—সবই আল্লাহর হাতে নির্ধারিত।”
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, একটি বাংলাদেশবিরোধী চক্র বারবার নানান অজুহাতে জাতীয় নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, “দেড় দশকের বেশি সময় পর অবশেষে নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই।”
দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “প্রতিটি আন্দোলনেই প্রমাণিত হয়েছে, জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিজয়কে কেউ থামাতে পারে না। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
তিনি আরও বলেন, এবারের নির্বাচন অতীতের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে বেশি জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনের সঙ্গে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রসঙ্গে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “নিজেদের দলীয় স্বার্থে পতিত ও পলাতক একটি চক্র স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছিল। এখন আবার সুযোগ নিয়ে সেই পরাজিত চক্র বিজয়ের নতুন ইতিহাস লেখার অপচেষ্টা করছে। ষড়যন্ত্রকারীদের রূপ-রং-চেহারা পাল্টালেও তাদের চরিত্র একটুও পাল্টায়নি।”


