২০১৩ সালের পল্টন ও শাহজাহানপুর থানায় দায়ের হওয়া পৃথক দুইটি না’\শক’\তা মামলায় মির্জা আব্বাস (Mirza Abbas) ও আমা’\নউল্লা’\হ আমান (Amanullah Aman)–সহ মোট ৪৫ জন নেতা-কর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। এ আদেশের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চলমান একটি আলোচিত মামলার আনুষ্ঠানিক নিষ্পত্তি হলো।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান (Mehedi Hasan) এ সংক্রান্ত আদেশ দেন। আদালতে উপস্থিত হয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমা’\নউল্লা’\হ আমান নিজেদের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। শুনানি শেষে মামলার নথি ও অভিযোগের বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করে আদালত তাদের আবেদন মঞ্জুর করেন।
মির্জা আব্বাস ও আমা’\নউল্লা’\হ আমানের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহি উদ্দিন চৌধুরী আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলার অভিযোগ ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত মনে করেন যে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ টিকিয়ে রাখার মতো যথেষ্ট উপাদান নেই।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে মালিবাগ মোড়ে অবৈধভাবে সমাবেশ, গাড়ি ভাঙচুর এবং না’\শক’\তা চালানোর অভিযোগ এনে পুলিশ পল্টন ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। এসব মামলায় মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির একাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
এই দুই মামলায় শুরুতে মোট ৪৯ জনকে আসামি করা হলেও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir) আগেই আদালত থেকে অব্যাহতি পান। এছাড়া মামলার অন্যতম আসামি বিএনপির প্রবীণ নেতা মওদুদ আহমেদ (Moudud Ahmed) মৃত্যুবরণ করায় তার নাম অভিযোগ তালিকা থেকে বাদ পড়ে। ফলে শেষ পর্যন্ত এই দুই মামলায় অবশিষ্ট ৪৫ জন আসামির সবাইকে আদালত অব্যাহতি প্রদান করেন।


