গোপালগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে একের পর এক পদত্যাগের ঘটনায় তৃণমূলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে টুঙ্গিপাড়া ও মুকসুদপুর উপজেলায় দলটির ১৬ জন নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন। ‘ব্যক্তিগত কারণ’ ও ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি’র কথা বলা হলেও স্থানীয়রা বলছেন, দলীয় সাংগঠনিক নিষ্ক্রিয়তা ও বর্তমান প্রেক্ষাপটের প্রতিক্রিয়ায়ই নেতারা সরে দাঁড়াচ্ছেন।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে টুঙ্গিপাড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দল ছাড়ার ঘোষণা দেন উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম শরীফ, পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ ও পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল হোসেন।
এর আগের দিন, শুক্রবার আরও তিনজন নেতা একই উপজেলায় পদত্যাগ করেছিলেন।
একই দিন বিকেলে মুকসুদপুর উপজেলার ১৭ নম্বর জলিরপাড় ইউনিয়নের দক্ষিণ জলিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একযোগে পদত্যাগ করেন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের ১০ জন নেতাকর্মী।
এদের মধ্যে রয়েছেন—
– জলিরপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাগর বাগচী
– ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুহুল আমীন শেখ
– ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি অভি বাগচী ও বিদ্যুৎ বাগচী
– সাধারণ সম্পাদক নরেশ গোলদার
– সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শ্যামল বাগচী
– সদস্য শিশির বাগচী, হরিচাদ বাকচী, নারায়ণ গোলদার ও রনজন গাইন
পদত্যাগকারী নেতারা দাবি করেছেন, “আমরা স্বেচ্ছায় ও কোনো প্ররোচনা ছাড়া পদত্যাগ করেছি।” তাদের ভাষ্য, দলের প্রতি সম্মান থাকলেও বর্তমানে তারা সাংগঠনিক জটিলতা এবং ব্যক্তিগত কারণে আর পদে থাকতে আগ্রহী নন।
তবে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং দলে ভেতরে অস্থিরতা এই গণ-পদত্যাগের প্রধান কারণ।


