শহীদ শরিফ ওসমান হা’\দির হ’\ত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম পুলিশ প্রতিবেদন জমার পর ৯০ দিনের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল (Asif Nazrul)। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।
ফেসবুক পোস্টে আসিফ নজরুল বলেন, ‘শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হ’\ত্যার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। “দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০২”-এর ১০ ধারার অধীনে পুলিশ রিপোর্ট জমা পড়ার সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করা হবে।’
এদিকে হা’\দি হ’\ত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি বিচারিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। পাশাপাশি প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের (Abdullah Al Jaber) বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ শুধু রক্ত দিয়ে যাবে—এই অধ্যায় শেষ। এবার জনগণ রক্ত নিতেও প্রস্তুত। যারা আমার ভাইকে হ’\ত্যা করেছে, তাদের খুঁজে বের করতে না পারলে জনগণ প্রতিক্রিয়া দেখাবে। র’\ক্তপাত একবার শুরু হলে তা থামানো সহজ হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই-পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য এই হ’\ত্যাকাণ্ড এক কঠিন পরীক্ষা। এ ঘটনায় দৃশ্যমান ও কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে রাষ্ট্রের প্রতি মানুষের আস্থা আরও কমে যাবে। তাই হা’\দি হ’\ত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে হলে, প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা নিতে হবে।’
উল্লেখ্য, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি চলমান জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর দুপুরে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে গু’\লি করে। মাথায় গু’\লি’\বি’\দ্ধ অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ১৮ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওসমান হাদির মৃত্যু হয়।
এর আগে, ১৪ ডিসেম্বর ওসমান হাদির ওপর গু’\লি চালানোর ঘটনায় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের পল্টন থানায় একটি হ’\ত্যা’\চেষ্টা মামলা করেন। পরে ওসমান হাদির মৃত্যু হলে মামলাটি হ’\ত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।


