বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique Rahman) ও তাঁর মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান (Zaima Rahman) ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমোদনের ভিত্তিতে তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানও বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “তারেক রহমান ও তাঁর কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান উভয়েই এখন ভোটার হয়েছেন।”
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর ২৬১১০৭০২৭৯৭১ এবং তাঁর ভোটার নম্বর ৮১২৪। তিনি এখন ঢাকা-১৭ আসনের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর ঠিকানার ভোটার। একই ঠিকানায় কিছুদিন আগে ভোটার হন তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান।
এরই মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি থেকে তারেক রহমানের মনোনয়নপত্র ঢাকা-১৭ এবং বগুড়া-৬—এই দুটি আসনের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। রোববার ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র নেওয়া হয়।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে হলে দেশের যেকোনো এলাকার ভোটার হলেই হয়। ২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকার সময় কিছু ‘সংগত কারণ’ দেখিয়ে তারেক রহমান ভোটার হতে পারেননি। এবার সেই বাধা কাটিয়ে তিনি ও তাঁর কন্যা উভয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটার হলেন।
শনিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণ ভবনে এসে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেন তারেক রহমান ও জাইমা রহমান।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। আপিল গ্রহণ ও নিষ্পত্তির সময় ৫ থেকে ১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি। প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
গত ২৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন তারেক রহমান। এরপর থেকেই তিনি বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে অবস্থানরত তারেক রহমানের হঠাৎ দেশে ফিরে নির্বাচনে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়া রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।


