সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনে নাটকীয়ভাবে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন জেলা বিএনপির নেতা কামরুজ্জমান কামরুল। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সাধারণ ভোটার ও কর্মীদের দাবির মুখে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিলেও, রাত ৯টার দিকে ঢাকার গুলশান থেকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তাকে ফোন করে চূড়ান্ত মনোনয়ন জানানো হয়।
কামরুল বলেন, “দলীয় কার্যালয় থেকে আমাকে ফোন করে এনআইডি চাওয়া হয় এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়।” এর মাধ্যমে তার বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া আর হলো না—তিনি এখন বিএনপির আনুষ্ঠানিক প্রার্থী।
এই দ্রুত নাটকীয় মোড় রাজনীতিতে বেশ আলোড়ন তুলেছে। স্থানীয় পর্যবেক্ষক ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মতে, কামরুলের মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে সহায়তা করবে। এক অনুসারী বলেন, “এটি চূড়ান্ত মনোনয়ন এবং আমরা এতে সন্তুষ্ট। এখন বিএনপি সুনামগঞ্জ-১ আসনে আরও সংগঠিতভাবে লড়বে।”
তবে ঘটনাটি আরও জটিল করে তুলেছে কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহসাধারণ সম্পাদক আনিসুল হকের অবস্থান। তিনি দাবি করছেন, তিনিই বিএনপির চূড়ান্ত মনোনীত প্রার্থী। আনিসুল হক বলেন, “সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেব।” তার ভাষ্যমতে, কামরুল কেবল বিকল্প প্রার্থী হিসেবে সংযুক্ত হয়েছেন।
এই দ্বৈত অবস্থান নিয়ে দলের অভ্যন্তরেও নানা প্রশ্ন উঠছে। রাজনীতিতে এটি বিরল নয় যে, শেষ মুহূর্তে দল সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। তবে একদিনের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী থেকে মনোনীত প্রার্থী হয়ে যাওয়া—তা স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, দলীয় সমঝোতা ও শক্তিশালী প্রার্থী নিশ্চিত করতে বিএনপি শেষ মুহূর্তে এ সিদ্ধান্ত নেয়। এখন দেখার বিষয়, আনিসুল হক এবং কামরুল—দুজনের অবস্থান কীভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে, এবং এতে দলের ঐক্যে প্রভাব পড়ে কিনা।


