যে কারনে দুই সাবেক উপদেষ্টাকে প্রার্থী করতে রাজি হয়নি জামায়াত জোট

দুই সাবেক উপদেষ্টাকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী (Jamaat-e-Islami) নেতৃত্বাধীন জোট। জোটের একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতার মতে, এদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের দায় পুরো জোটের ওপর পড়ার আশঙ্কা ছিল বলেই এই সিদ্ধান্ত।

জোটের আসন বণ্টন আলোচনায় অংশ নেওয়া জামায়াতের এক নেতা বলেন, “একজন সাবেক উপদেষ্টার বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেগুলো সত্য-মিথ্যা যাই হোক, তাঁকে প্রার্থী করলে সেই দায় আমাদের নিতে হতো।” তিনি আরও জানান, “অন্য উপদেষ্টা থাকাকালীন জামায়াত ও মওদুদী মতবাদ নিয়ে ধারাবাহিক সমালোচনা করেছিলেন। তাঁকে মনোনয়ন দিলে দলের কর্মীসমর্থকদের কাছে নেতিবাচক বার্তা যেত।”

দুই উপদেষ্টা—যাঁদের ঘিরে এই আলোচনা—তাঁরা জামায়াতের সঙ্গে জোট গঠনকে শুরু থেকেই সমর্থন করেননি। বরং তাঁরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) (Bangladesh Nationalist Party – BNP)–র সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী ছিলেন বলে জানা যায়। এমনকি তাঁদের বিএনপির প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জনও রাজনৈতিক মহলে ঘুরছিল। কিন্তু বিএনপির সূত্র জানায়, শেষ পর্যন্ত তারাও মাহফুজ ও আসিফকে প্রার্থী করতে রাজি হয়নি।

তবে এনসিপি সূত্র বলছে, দল হিসেবে দুই সাবেক উপদেষ্টাকে একেবারে উপেক্ষা করা হয়নি। এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, “মাহফুজের পরিবর্তে তাঁর ভাইকে জোটের প্রার্থী করা হয়েছে। আর আসিফ মাহমুদকে এনসিপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”

উল্লেখ্য, এতদিন এই দায়িত্বে ছিলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এনসিপির নির্বাচনী কৌশল এবং প্রচারণার নেতৃত্ব এখন আসিফের হাতে।

জামায়াত নেতাদের মতে, দুই সাবেক উপদেষ্টার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের সঙ্গে আগেই দ্বন্দ্ব ছিল। তাঁদের জোটের প্রার্থী করলে জামায়াতকেই সেটির দায় বহন করতে হতো। একইসঙ্গে, সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পাশাপাশি সরকারবিরোধী শক্তির বিরোধিতার মুখেও পড়তে হতো, যা নির্বাচনে দলকে মারাত্মক ক্ষতির মুখে ফেলতে পারত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *