কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম (Chaudhagram ) উপজেলায় অবৈধভাবে মাটি কাটার প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্রদল (Jatiyatabadi Chhatra Dal ) নেতা মেহেদী হাসান অনি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠেছে কুমিল্লা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সদস্য সচিব শাহাদাত তানভির রাফি ও তাঁর সহযোগীদের।
হামলার ঘটনা
বুধবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাত আনুমানিক বারোটার দিকে উপজেলার ঘোলপাশা (Gholpasha ) ইউনিয়নের আমানগন্ডা (সালুকিয়া) এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত অনি ঘোলপাশা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং ওই গ্রামের বাসিন্দা সাইদুর রহমানের ছেলে।
ভুক্তভোগী মেহেদী হাসান অনি অভিযোগ করেন, ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রতিরাতেই ভেকু দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটছে শাহাদাত তানভির রাফি ও তাঁর সহযোগীরা। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন মাদক ব্যবসায়ী গোলাম রসুল, মো. ওয়াসিম এবং যুবলীগ নেতা আল রায়হান আলকাছ। বুধবার রাতে অনির বাবার মালিকানাধীন ফসলি জমির পাশ থেকে গভীরভাবে মাটি কাটার ফলে জমির ক্ষতি হয়।
এ খবর পেয়ে অনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাটি কাটায় বাধা দিলে শাহাদাত তানভির রাফি ও তাঁর পিতা বাবুল রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে অনির ওপর হামলা চালান। অনির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান, যেখানে তাঁর মাথায় নয়টি সেলাই দেওয়া হয়।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শাহাদাত তানভির রাফি আগে নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন। বর্তমানে তিনি ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে ভারত সীমান্তবর্তী আমানগন্ডা সালুকিয়া এলাকায় ভেকু দিয়ে মাটি কেটে পুরো অঞ্চলকে গর্তে পরিণত করেছেন। কেউ দেখলে এটিকে পাহাড়ি এলাকা না বলে ‘পুকুর’ মনে করবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন, বন বিভাগ এবং কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল। পাশাপাশি, রাফির বিরুদ্ধে এলাকায় স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের অভিযোগও উঠেছে।
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে শাহাদাত তানভির রাফি অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, “এটি পারিবারিক বিরোধ থেকে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা।”
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার (Chaudhagram Police Station ) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”