সংবিধান সংস্কার কমিশনের যে সব সুপারিশে একমত নয় বিএনপি

সংবিধান সংস্কার কমিশনের বিভিন্ন সুপারিশের সঙ্গে একমত নয় বিএনপি (BNP)। বিশেষ করে জরুরি অবস্থা জারির ক্ষমতা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ, সংসদ সদস্যদের ন্যূনতম বয়সসহ একাধিক বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছে দলটি।

সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রস্তাব করেছিল, কেবল জাতীয় সাংবিধানিক কমিশনের (এনসিসি) সিদ্ধান্তক্রমে রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবেন। তবে বিএনপি বলেছে, জরুরি অবস্থা জারির সঙ্গে সরকারের নির্বাহী কর্তৃত্ব জড়িত, তাই এ ক্ষমতা সরকারের বাইরে অন্য কারও কাছে থাকা সংগত নয়।

সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪১(খ) ও ১৪১(গ) বাতিলের সুপারিশের বিরোধিতা করে বিএনপি বলেছে, নাগরিক অধিকার রদ বা স্থগিত না করে জরুরি অবস্থা জারির কোনো যৌক্তিকতা নেই।

সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছে বিএনপি, যা সংস্কার কমিশনের চার বছর মেয়াদের সুপারিশের বিপরীত। প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক দলের প্রধান হতে পারবেন না—এমন সুপারিশের বিরোধিতা করেছে দলটি। তাদের মতে, এটি সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ তিন মাসের পক্ষে বিএনপি। দলটি বলেছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা উচিত নয়।

সংবিধান সংশোধনী বিষয়ে গণভোটের বাধ্যবাধকতার বিরোধিতা করে বিএনপি বলেছে, এটি বাস্তবসম্মত নয়। রাষ্ট্রপতির মেয়াদ পাঁচ বছর রাখার পক্ষে মত দিয়েছে দলটি।

এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ, সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি সংক্রান্ত বিধানসহ একাধিক বিষয়ে বিএনপি ভিন্নমত পোষণ করেছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ (Salah Uddin Ahmed) বলেছেন, বিএনপি পৃথক সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু কমিশনের সুপারিশে তা প্রতিফলিত হয়নি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *