আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
জনঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) এখনো আওয়ামী লীগ পুনর্গঠনের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেননি। ফলে দলটির পুনর্গঠনের গুঞ্জন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে।
আলোচনা চলছে যে, পুনর্গঠনের দায়িত্ব সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী (Shirin Sharmin Chaudhury) ও সাবের হোসেন চৌধুরীকে দেয়া হতে পারে। তাদের দুজনেরই তুলনামূলক পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি রয়েছে। তবে, বাস্তবতা ভিন্ন। আওয়ামী লীগের কোনো শাখাই এখন কার্যকর নয়।
দল ও সরকারের পতন একসঙ্গে
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগ এবং সরকার এক হয়ে গিয়েছিল। ফলে সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে দলও কার্যত বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দলেরও নৈতিক মনোবল ভেঙে পড়েছে।
রাজধানীর ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানে কোনো নেতা বা কর্মীর উপস্থিতি নেই। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দলটির নেতাকর্মীরা অনুপস্থিত।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি?
১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব সংকটে পড়েছিল। তখন দলের নেতৃত্বে ছিলেন জোহরা তাজউদ্দিন (Zohra Tajuddin)। কিন্তু পরবর্তীতে শেখ হাসিনা ভারত থেকে ফিরে তাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেন।
ওয়ান-ইলেভেনের পর দল যখন সংকটে পড়ে, তখন হাল ধরেন জিল্লুর রহমান। শেখ হাসিনা তখন কারাগারে ছিলেন এবং দেশি-বিদেশি সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় ফেরার কৌশল নিয়েছিলেন।
পরিবারের বাইরের কাউকে দায়িত্ব দেবেন?
শেখ হাসিনা এখন ভারতে অবস্থান করছেন এবং তার দলের বেশির ভাগ নেতা পলাতক বা বিদেশে। আলোচনা চলছে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব পরিবারের বাইরে যাবে কি না। পরিবারের মধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয় (Sajeeb Wazed Joy), সায়মা ওয়াজেদ পুতুল (Saima Wazed Putul) অথবা রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নাম শোনা যাচ্ছে।
হাসিনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে শত শত হত্যাকাণ্ড, গুম, ও অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। পরিস্থিতি তার অনুকূলে নয়, এবং কোনো নতুন ষড়যন্ত্র ছাড়া তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।