ঢাকার ধানমন্ডির জিগাতলা এলাকায় গাড়ি পার্কিংয়ের সময় এক যুবকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর, সামাজিক মাধ্যমে তাকে ‘চাঁদাবাজ’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। ওই যুবক মো. আশরাফুল (২৩)–কে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আটক করে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম জানান, ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর আশরাফুলকে আটক করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জানা যায়, আশরাফুল ‘জেড এইচ এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে ধানমন্ডি লেক ও সংলগ্ন এলাকার পার্কিং ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ইজারায় নিয়েছে। তার দায়িত্ব ছিল পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত ফি সংগ্রহ করা, এবং সে সময় তিনি একটি রসিদও প্রদান করছিলেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, গাড়ির মালিক ও তার সঙ্গে থাকা এক নারী আশরাফুলের সঙ্গে তর্কে জড়ান এবং তাকে ‘চাঁদাবাজ’ ও ‘মাস্তান’ বলে গালাগালি করেন। উত্তরে আশরাফুল কিছুটা রূঢ় ও আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে বলেন, “ভিডিও করেন ভালো করে, আমার একটা চুলও বাঁকা করতে পারবা না।”
আচরণগত দিক থেকে আশরাফুলের ব্যবহার হয়তো সমালোচনার যোগ্য, তবে যে কাজ তিনি করছিলেন, তা নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বৈধভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন বলেই জানা গেছে।
এই ঘটনার মাধ্যমে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কোনো ভিডিওকে যাচাই না করেই ছড়ালে তা কতটা বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, কারও আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ হলেও, তথ্যবিকৃতি ও অতিরঞ্জিত প্রচার সমাজে ভুল বার্তা দিতে পারে।

ইজারার কাগজ

রশিদ

প্রকাশ্যে সাইনবোর্ড থাকা সত্ত্বেও , এই ফি কে চাঁদাবাজি হিসাবে প্রচার করা হয়।