প্রবাসজীবনে থেকেও বাংলাদেশের রাজনীতি, সামাজিক ইস্যু ও মানবাধিকার নিয়ে পিনাকী ভট্টাচার্য (Pinaki Bhattacharya)’র অবস্থান ইতোমধ্যেই দৃষ্টিগোচর হয়েছে অসংখ্য মানুষের কাছে। একজন মা হিসেবে পিনাকীর মা কী অনুভব করেন? গণমাধ্যমের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি তুলে ধরেছেন তার গভীর অনুভূতির কথা।
প্রশ্ন: আপনার ছেলে পিনাকী ভট্টাচার্য দেশের জন্য প্রাণপণে কাজ করে যাচ্ছেন। একজন মা হিসেবে এটা কীভাবে দেখেন?
উত্তর: আমার ছেলে দেশের জন্য অনেক কষ্ট করে—এই কথাটা আমি বারবার বলেছি, আবারও বলছি। একজন মা হিসেবে এটা আমার জন্য অনেক গর্বের। তবে শুধু গর্ব না, সঙ্গে একটা ভয়ও কাজ করে—বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে।
প্রশ্ন: অনেকেই পিনাকীর ভিডিও দেখে, ওর কথা শুনে অনুপ্রাণিত হন। মা হিসেবে কেমন লাগে এই ব্যাপারটা?
উত্তর: ভালো তো অবশ্যই লাগে। ছেলের কৃতিত্বে তো মার অহংকার হওয়া উচিত, আমারও অহংকার হয়। ওর কাজ দেখে মন ভরে যায়। তবে ভয়টা থেকেই যায়—ওর নিরাপত্তা নিয়ে।
প্রশ্ন: পিনাকী দেশে একটি ভালো পেশায় ছিলেন। সেই পেশা ছেড়ে প্রবাসে চলে যাওয়ার কারণ কী?
উত্তর: এটা তো সবাই জানে—দেশে তাঁর ওপরে রাজনৈতিক চাপ ছিল। আওয়ামী লীগের ক্রোধ তার উপর পড়ে। তাকে মেরে ফেলার হুমকি, গ্রেপ্তারের ভয়—এসবই তাকে বাধ্য করে দেশ ছাড়তে। ও তো দেশকে ভালোবাসতো, এমন একজন হুট করে বিদেশে চলে যাওয়ার কথা না। প্রাণের ভয়েই তাকে চলে যেতে হয়েছে।
প্রশ্ন: প্রবাসে থেকেও তিনি দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এই বিষয়টা আপনি কীভাবে দেখেন?
উত্তর: খুব ভালো লাগে। আমি নিজে গিয়েছিলাম আগস্টের ৫ তারিখে ওর কাছে। নিজের চোখে দেখেছি, কীভাবে দিন-রাত দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমার ছেলেকে নিয়ে আমি গর্বিত। যদি ও দেশের জন্য কিছু করতে পারে, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারে, এর চেয়ে বড় কিছু আর হয় না মায়ের জন্য।
প্রশ্ন: ছেলের সঙ্গে এতটা দূরত্ব—এটা কেমন লাগে আপনার?
উত্তর: দূরত্ব মানে দেহের দূরত্ব, মনের না। আজকাল তো অনেকেই বাইরে যায়—চাকরির জন্য, পড়াশোনার জন্য। আমাদের তো প্রায় প্রতিদিন কথা হয়, কখনো ফোনে, কখনো ভিডিও কলে। ছয় বছর পর গিয়েছিলাম, ওকে দেখে খুব ভালো লেগেছে। ওখানে অনেক ভালো আছে।
প্রশ্ন: আপনি ছেলের ছোটবেলার কথা বলছিলেন…
উত্তর: ও অসম্ভব মেধাবী ছিল ছোটবেলা থেকেই। এখনকার দিনে তো কত কোচিং লাগে, টিউটর লাগে। কিন্তু ওর কোন কোচিং ছাড়াই মেডিকেলে চান্স পেয়েছিল। ঠিকমতো পড়াশোনা না করেও চান্স পেয়ে গেছে—এই জিনিসটা এখনকার দিনে ক’জন পারে?