ভারতের মুর্শিদাবাদের সহিংসতায় বাংলাদেশকে জড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান বাংলাদেশের

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়ানোর চেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পাশাপাশি দেশটির মুসলিম সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল ২০২৫) বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) বরাতে এই অবস্থান জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বাংলাদেশকে জড়ানোর যেকোনো চেষ্টা বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।’

শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর চালানো সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। আমরা ভারত সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে আহ্বান জানাই, যেন তারা সংখ্যালঘু মুসলিমদের জানমালের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।’

ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, নতুন ওয়াক্‌ফ আইন ঘিরে উত্তেজনার জেরে গত সপ্তাহে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়। এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে মালদহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলির মতো সংবেদনশীল জেলাগুলোতেও।

বিক্ষোভ চলাকালে বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ ও রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালানো হলেও পরিস্থিতি বেশ কিছুদিন ধরে থমথমে রয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, নতুন ওয়াক্‌ফ আইন মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর অবিচার করবে এবং ধর্মীয় সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের পথ খুলে দেবে। এই প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

বাংলাদেশ সরকার মনে করছে, এই অভ্যন্তরীণ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে বাংলাদেশকে জড়ানোর যে কোনো প্রচেষ্টা প্রতিবেশী সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা আশা করি ভারত সরকার এ ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচেষ্টাকে নিরুৎসাহিত করবে এবং নিজ দেশের অভ্যন্তরে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।’

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *