স্ত্রী-মাকে সঙ্গে নিয়ে যায় স্বর্ণ ডাকাতি করতে,অতঃপর …

ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ এলাকায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় মূল হোতা ওমর আলী মাতুব্বরকে স্ত্রী ও মা’সহ আটক করেছে পুলিশ। পারিবারিকভাবে সংঘটিত এই ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম (Ashraful Alam)।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ফরিদপুরের নগরকান্দা গ্রামের ছাগলদী এলাকার খোরশেদ মাতুব্বরের ছেলে ওমর আলী মাতুব্বর (৩৫), তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৩০), মা কমলা বেগম (৬৫), স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল পাল ও মো. আকরাম মাতুব্বর (৪২)। চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো, স্ত্রী ও মা’কে নিয়েই ওমর আলী ডাকাতির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেন।

পুলিশ জানায়, গত রমজানে দোহার উপজেলার সুতারপাড়া এলাকার মো. শাহজানের বাড়িতে জাকাতের কাপড় ও টাকা নিতে যান ওমরের স্ত্রী ও মা। সেখান থেকেই শাহজানের বাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনা করে তারা। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ১৫ এপ্রিল সেদিন রাতেই ওই বাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতি সংঘটিত হয়। পরদিন ১৬ এপ্রিল নারিশার কাকন গাজীর বাড়িতেও একই চক্রের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া ২১ এপ্রিল নবাবগঞ্জ উপজেলার বলমন্তচরে সংঘটিত অপর এক ডাকাতির সঙ্গেও এই চক্রটির সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ, যা এখনো তদন্তাধীন।

আশরাফুল আলম বলেন, মামলার পর থেকেই ডাকাতদের ধরতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অভিযান পরিচালনা করে দোহার থানা পুলিশ ও ঢাকা জেলা গোয়েন্দা (দক্ষিণ) শাখার যৌথ দল। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এই অভিযানে ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র এবং লুণ্ঠিত ১০ আনা ১ রতি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুজন সরাসরি ডাকাতিতে অংশ নেন, একজন স্বর্ণ কেনার সঙ্গে জড়িত, আর বাকি দুজন স্বর্ণ বিক্রি ও ডাকাতির তথ্য সরবরাহে সহযোগিতা করেছেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, মূল হোতা ওমর আলী মাতুব্বর সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে নতুন করে ডাকাতির পরিকল্পনা করেন। তার নেতৃত্বেই সংঘটিত হয় দুটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা তাদের অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে বুধবার আদালতে তোলা হয়েছে।

এই ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান এখনো অব্যাহত আছে বলে জানায় পুলিশ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *