কাশ্মীর সীমান্তে ফের রক্তাক্ত সংঘর্ষের দাবি উঠেছে—এবার সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিয়ন্ত্রণ রেখায় (LoC) সংঘর্ষে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার কুয়েতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা (Al Jazeera) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার (Ataullah Tarar) জানিয়েছেন, ভারত-শাসিত ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরকে বিভক্তকারী নিয়ন্ত্রণ রেখায় সাম্প্রতিক গোলাগুলিতে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী এই সংখ্যক ভারতীয় সেনাকে হতাহত করেছে। তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী কঠোর জবাব দিয়েছে, এবং ভারতীয় পক্ষের বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।” এই বক্তব্য তিনি পাকিস্তানের পার্লামেন্টে আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তুলে ধরেন।
এছাড়া পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী দাবি করেছে, তারা ভারতের পাঠানো ২৫টি ইসরায়েলি প্রযুক্তিতে নির্মিত ‘হারপ’ ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এই ড্রোনগুলো ভারতের তরফ থেকে পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর (ISPR)। তারা জানায়, সফট-কিল ও হার্ড-কিল প্রযুক্তির সমন্বয়ে এই ড্রোনগুলোকে গুলি করে নামানো হয়।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ৬ মে পাকিস্তানের পাল্টা বিমান হামলায় ভারতের পাঁচটি আধুনিক যুদ্ধবিমান ও বেশ কয়েকটি ড্রোন ধ্বংস হয়। এই হামলায় ভারতীয় বাহিনীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি করা হয়। এতে ভারত আতঙ্কিত হয়ে পরে ড্রোন হামলার পথ বেছে নেয় বলে দাবি পাকিস্তানের।
এখনো পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে এসব দাবির বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে দীর্ঘদিন ধরেই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে কাশ্মীর সীমান্তে sporadic সংঘর্ষ এবং পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ লেগেই আছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সীমান্তে সাম্প্রতিক এই উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধোন্মুখ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান ধ্বংসের মতো অভিযোগগুলো দুই দেশের সামরিক অবস্থানকে আরও জটিল করে তুলবে।