ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীর গাবতলী হাটে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর বেচাকেনা। তবে এবারের হাটে এক ব্যতিক্রমধর্মী ছাগল চমকে দিয়েছে দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের। কারণ শুধু তার ওজন বা গড়ন নয়, বিস্ময়ের কেন্দ্রে রয়েছে তার নাম—“ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ”। কলকাতার মলম বিক্রেতা খ্যাত সাংবাদিকের নামে এই ছাগলের নামকরণ হয়েছে বলে বাজারে রটেছে।
ছাগলটির দাম হাঁকা হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। হাটে উপস্থিত লোকজনের চোখ আটকে গেছে ছাগলটির দিকে। একপাশে দাড়িয়ে থাকা কেউ বলছেন, “ওই যে দেখছেন, ওটাই ময়ূখ রঞ্জন!”—এই নাম নিয়েই শুরু হয় কৌতূহল আর হাস্যরস।
তবে বিক্রেতা এই নামকরণ প্রসঙ্গে কিছুটা বিরক্তি নিয়েই বলেন, “ভাই, আমি কোনো নাম রাখি নাই। মানুষ এমনি এমনি বলে। আমি কিনছি বিক্রির জন্য, নাম রাখার সময় কই?” তার এই কথার মধ্যেও যেন ঢুকে পড়ে হাটের রঙিন বাস্তবতা—গল্প ছড়ায় দ্রুত, কিন্তু সত্যটা থাকে কোথাও আড়ালে।
এছাড়া বিক্রেতা জানান, ছাগলটি ছাড়াও তার সঙ্গে থাকা আরও দুটি ছাগলের দাম হাঁকা হয়েছে যথাক্রমে ২ লাখ ৫ হাজার ও ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। তিনটিই যমুনাবাড়ি জাতের ছাগল বলে দাবি করেন তিনি। খাবারের তালিকাও বেশ রাজকীয়—গম, ছোলা, ভাত, চাল ও কাঠালের পাতা। মাংস উৎপাদনের সম্ভাব্য ওজন হতে পারে ৮০ থেকে ১০০ কেজির মধ্যে।
বিক্রেতার প্রত্যাশা, যদি ১ লাখ ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা পাওয়া যায়, তাহলে বিক্রি করে দেবেন। তবে শেষ কথাটা তিনি ছেড়ে রাখলেন সৃষ্টিকর্তার উপর—“বাকি আল্লাহর উপর।”
কোরবানির মৌসুমে ব্যতিক্রমী নাম আর বিশাল দেহের ছাগল ‘ময়ূখ রঞ্জন’ এখন যেন গাবতলী হাটের আকর্ষণের কেন্দ্রে। হাটে যারা আসছেন, অন্তত একবার তাকাচ্ছেন এই নামধারী ছাগলটির দিকে।