ছাত্র-জনতার ক্ষোভকে ‘মব’ বলায় হেফাজতের প্রতিক্রিয়া: “এটা ফ্যাসিস্ট ষড়যন্ত্র”

ছাত্র-জনতার ফ্যাসিবাদবিরোধী গণপ্রতিরোধকে ‘মব’ আখ্যা দেওয়া হচ্ছে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (Hefazat-e-Islam Bangladesh)। সংগঠনটির দাবি, গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শক্তির দোসররা পরিকল্পিতভাবে ছাত্র-জনতার ঐক্য ও গণপ্রতিরোধকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চাইছে।

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক (Maulana Azizul Haque) এই বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, “জুলাইর ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবী ছাত্র-জনতার সম্মতির ভিত্তিতে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার আজও গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে ব্যর্থ। কিন্তু যেখানে সরকার ব্যর্থ, সেখানে ছাত্র-জনতাই এগিয়ে আসছে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের ষড়যন্ত্রমূলক চাপ মোকাবিলায় মূল দায়িত্ব পালন করছে ছাত্র-জনতা। তাদের ভূমিকা ‘মব’ হিসেবে চিত্রায়িত করা হলো ফ্যাসিস্টদের সুপরিকল্পিত অপচেষ্টা। “এই অপপ্রচার শুধু বিদ্যমান ফ্যাসিস্টদের নয়, ভবিষ্যতের ফ্যাসিবাদেরও আগাম ইঙ্গিত বহন করে,” বলেন হেফাজত নেতা আজিজুল হক।

তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের আন্দোলন ও ২০২১ সালের মোদিবিরোধী বিক্ষোভে আলেম-ওলামা ও তৌহিদি জনতার অংশগ্রহণ ছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক প্রতিরোধ। সেই পথেই চব্বিশ সালে ছাত্রদের নেতৃত্বে যে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে, তা ছিল এক মহাকাব্যিক অধ্যায়।

তবে হেফাজতের মতে, সেই অভ্যুত্থান সফল হলেও ‘জুলাই বিপ্লব’ এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়, “সারা দেশে ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণপ্রতিরোধ চলবে ইন-শা-আল্লাহ।”

বিবৃতির শেষাংশে হেফাজতের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়—সব বিভেদ পেছনে ফেলে ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। না হলে, নব্য ফ্যাসিবাদ নতুন করে সুযোগ নিয়ে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *