সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের ‘হাতপাখা’ প্রতীকের সমাবেশকে ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক এই সমাবেশকে ‘বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রমাণ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বুধবার (২ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত ‘পিআর পদ্ধতির নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় নাগরিকদের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল বলেন, “বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নতুন নয়। তবে এবার যে প্রক্রিয়ায় হচ্ছে, তা খুবই সুপরিকল্পিত। যখন লন্ডনে তারেক রহমান ও ড. ইউনূস-এর মধ্যে বৈঠক চলছে এবং একটা রাজনৈতিক ঐক্য প্রত্যাশা করা হচ্ছে, ঠিক তখনই ঢাকায় ‘হাতপাখা’র মিটিং বসানো হয়। একই সঙ্গে কিছু রাজনৈতিক নেতা বলছেন—পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন নয়, সংস্কার ছাড়া ভোট নয়—এগুলোই ষড়যন্ত্রের অংশ।”
তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার এগারো মাস সময় পেয়েছে। কিন্তু আজও কোনো সংস্কার শেষ করতে পারেনি। আপনার টার্গেট ফেব্রুয়ারি মাস, তাই অনুগ্রহ করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করুন যাতে জনগণের রায় প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো আবার কার্যকর হয়।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটন। বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য রহিমা শিকদারসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, ‘সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি’, ‘সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়’—এ ধরনের বক্তৃতার পেছনে রাজনৈতিক প্ররোচনা রয়েছে। দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ধ্বংস করতেই এইসব বিকল্প এজেন্ডা সামনে আনা হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
ফারুকের বক্তব্যে স্পষ্ট যে বিএনপি এখন শুধু রাজনৈতিক মাঠেই নয়, বরং ষড়যন্ত্র ও পাল্টা ষড়যন্ত্রের এক কৌশলগত পর্বে প্রবেশ করেছে, যেখানে প্রতিটি মঞ্চ, প্রতিটি বক্তব্যে লুকিয়ে আছে রাজনৈতিক সিগন্যাল।