ফেসবুকে তারেক-ফখরুলকে ট্যাগ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজির অভিযোগ সারজিস আলমের

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থেকে পাথর ও বালু পরিবহনকারী গাড়িগুলোর কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ তুলে জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizen Party-NCP) নেতা সারজিস আলম এক বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন। ওই পোস্টে তিনি সরাসরি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique Rahman) এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir) কে ট্যাগ করে চাঁদাবাজির সঙ্গে দলের সম্পৃক্ততা প্রশ্নবিদ্ধ করেন।

বুধবার (২ জুলাই) দিবাগত রাত ১টা ১৩ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া স্ট্যাটাসে সারজিস আলম অভিযোগ করেন, পাটগ্রাম উপজেলায় সরকার অনুমোদিত বালু ও পাথর সাইট থেকে পণ্য পরিবহনের সময় প্রতিটি গাড়ি থেকে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়মিত হাতিয়ে নিচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র, যারা বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এসব অপকর্ম চালাচ্ছে বলে তার দাবি।

পোস্টে সারজিস আরও উল্লেখ করেন, বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাঁদাবাজির ঘটনায় জড়িত দুই ব্যক্তিকে আটক করে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। কিন্তু পরে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শতাধিক নেতাকর্মী থানায় হামলা চালিয়ে, ভাঙচুর করে এবং আটক দুইজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

ঘটনার আরও বিস্তার দিয়ে তিনি লেখেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা পুলিশ সুপার হাতীবান্ধা থানা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স চাইলেও সেখানকার বিএনপির নেতাকর্মীরা ওই থানা অবরুদ্ধ করে রাখে। সারজিস প্রশ্ন তোলেন—“এভাবে যদি বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে কিভাবে দেশ সংস্কার হবে?”

তার ভাষ্য, স্থানীয় জনমতের ভিত্তিতে এ ঘটনাগুলো ঘটছে এমপি হওয়ার আশায় থাকা এক নেতার মদদে। পোস্টে তিনি লিখেছেন, “আগে স্থানীয় পর্যায়ের মূল সংগঠনগুলোর নেতাদের কন্ট্রোল করতে হবে, তারপর দেশ সংস্কার সম্ভব।”

তিনি আরও বলেন, প্রশাসন ও পুলিশকে সহযোগিতা তো দূরের কথা, তাদের জিম্মি করে যারা অপকর্ম করছে তাদের বিরুদ্ধে বিএনপি কোনও ব্যবস্থা নেয় কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।

সবশেষে সারজিস আলম মন্তব্য করেন, “আমরা বিএনপির দাবি-দাওয়ার কথা শুনতে চাই না, বরং তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান ও কঠোর পদক্ষেপ দেখতে চাই—even যদি সেটা তাদের নিজ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেই হয়।”

এই পোস্ট ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন তুলেছে। তবে এ নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *