চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল বেইজিং সফরে যাচ্ছে। দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান (Dr. Shafiqur Rahman) এর নেতৃত্বে এই সফরটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন কূটনৈতিক মোড় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
৮ জুলাই, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় নিযুক্ত চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত লিউ ইউইন (Liu Yuyin) এর আমন্ত্রণে জামায়াতের শীর্ষ নেতারা ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসে একটি প্রাক-সফর রিসেপশন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার (Mia Golam Parwar), সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম (Maulana Abdul Halim) ও এহসান মাহবুব জুবায়ের (Ehsan Mahbub Zubair) সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা।
প্রতিনিধিদলের এই সফরকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ, কয়েক সপ্তাহ আগেই বিএনপি (BNP) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir) এর নেতৃত্বেও একটি উচ্চপর্যায়ের বিএনপি প্রতিনিধিদল চীন সফর করে এসেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক উত্তাপ, নির্বাচন-পরবর্তী অনিশ্চয়তা এবং আন্তর্জাতিক প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতার প্রেক্ষাপটে চীনের এমন ধারাবাহিক কূটনৈতিক তৎপরতা তাৎপর্যপূর্ণ। জামায়াতের সঙ্গে সরাসরি চীনা যোগাযোগ এবং আনুষ্ঠানিক বৈঠক আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচনার খোরাক যোগাচ্ছে।
তবে এই সফর কেবল সৌজন্যমূলক না কৌশলগত, তা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। চীন বাংলাদেশে তাদের রাজনৈতিক প্রভাব বজায় রাখতে একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার যে কৌশল নিয়েছে, জামায়াতের এই সফর তারই একটি অংশ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।