ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম (Fulgazi and Parshuram) উপজেলায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে আসা ঢলে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর অন্তত ১৫টি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ইতোমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। বিপাকে পড়েছেন অন্তত ২০ হাজার মানুষ। তাদের সহায়তায় মাঠে নেমেছেন ২ হাজার ৫৪৭ জন স্বেচ্ছাসেবক।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যা থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগেভাগেই গঠিত হয়েছে এই স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। এরই মধ্যে ৯০ জন স্বেচ্ছাসেবক ফুলগাজী ও পরশুরামে সরাসরি কাজ করছেন।
পাশাপাশি, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (Red Crescent Society), আমরা স্বেচ্ছাসেবক পরিবার, বালিগাঁও ইয়ুথ সোসাইটি, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মতো বিভিন্ন সংগঠনও নিজ নিজ উদ্যোগে কাজ করছে দুর্গত এলাকাগুলোতে।
জেলা প্রশাসন আরও জানিয়েছে, দুই উপজেলার জন্য ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে বর্তমানে আশ্রয় নিয়েছেন ১,৫৩২ জন। শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে দুর্গতদের মাঝে।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখায় ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু রাখা হয়েছে (মোবাইল: 01818-444500, 01336-586693)।
ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম (DC Saiful Islam) জানান, “দুর্গতদের পাশে থাকতে প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে। স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী তৈরি, খাদ্য সরবরাহ ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা—সবকিছুতেই নজর রাখা হয়েছে।”
মঙ্গলবার রাতের ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বড় অংশ প্লাবিত হয়। ফলে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানির নিচে চলে যায়, বাড়ে জনদুর্ভোগ। প্রশাসনের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যতটা সম্ভব দ্রুত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক দল ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ।