আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত অন্তত ২০

নড়াইলের চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের গন্ধর্ব্যখালী গ্রামে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে ভর্তি করা হয়েছে নড়াইল সদর হাসপাতাল (Narail Sadar Hospital)। বাকিদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। শনিবার (১৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উত্তেজনা চলছিল আওয়ামী লীগ (Awami League) নেতা সাইদুর রহমান মোল্লা ও বিএনপি (BNP) নেতা আব্দুর রউফ মোল্লার মধ্যে। শুক্রবার বিকেলে সাইদুর মোল্লার অনুসারী জিল্লুর রহমানকে প্রতিপক্ষ মারধর করলে উত্তেজনা চরমে ওঠে। তারই জের ধরে শনিবার সকালেই উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

হামলার ঘটনায় গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছেন আলমগীর শেখ, রহমান সরদার, এসকেন সরদার, মহাসিন সরদার, মাহিম, লিমন সরদার, শরিফুল মোল্যা, রোস্তম সরদার, কেসমত মোল্যা, শফিক মোল্যা, রেহাব মোড়ল, সাদ্দাম সিকদার, নূর ইসলাম ও সৌরভ সিকদার। তাদের মধ্যে অধিকাংশ এখনো নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহত লিমন সরদার অভিযোগ করে বলেন, “আমরা যুবদলের একটি মিছিলে অংশ নিয়েছিলাম। সেই কারণেই প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সাইদ মোল্যার লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমাদের লক্ষ্য করে আক্রমণ করে।”

তবে ভিন্নমত পোষণ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান মোল্লা গ্রুপের সমর্থক এবং ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জাফর শেখ। তার ভাষ্য, “এটি আসলে একটি গ্রাম্য কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ। একেবারে তুচ্ছ একটা বিষয় নিয়েই দুই পক্ষ উত্তপ্ত হয়ে পড়ে এবং শেষে সংঘর্ষে জড়ায়।”

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে নড়াইল সদর থানা (Narail Sadar Police Station)। থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, “দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের আধিপত্য বিরোধ থেকেই মূলত এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এখনো কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নড়াইলের রাজনৈতিক উত্তাপ আবারও প্রমাণ করলো, প্রান্তিক এলাকাগুলোতেও দলীয় কোন্দল কতটা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *