ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের আবেদন করেছিল ১৪৫টি রাজনৈতিক দল। তবে তাদের মধ্যে ৬৫টি নতুন দলের জন্য শুরুতেই দুঃসংবাদ—নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তারা এখন নিবন্ধনের দৌড়ে পড়ে গেছে বড় ধরনের অনিশ্চয়তায়।
ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আবেদনের পর যেসব দল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইসির দেওয়া শর্ত অনুযায়ী দলিলপত্র, সদস্য তালিকা, গঠনতন্ত্রসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিতে পারেনি, তারা নিবন্ধনের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হতে পারে।
অন্যদিকে, শেষ দিনে, অর্থাৎ রোববার (২৯ জুলাই), সব ঘাটতি পূরণ করে নিবন্ধনের প্রতিযোগিতায় টিকে গেছে ৮০টি দল। নতুন দলগুলোর মধ্যে আছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizens’ Party – NCP), যারা রোববার দিনশেষে তাদের ঘাটতি পূরণ করে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র জমা দিয়েছে।
ইসি সচিবালয় জানায়, এবারের নির্বাচন সামনে রেখে দলগুলোকে ২২ জুনের মধ্যে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ের মধ্যে ১৪৫টি দল আবেদন করে। এরপর, ইসির পক্ষ থেকে আবেদন বাছাই করে যেসব দলে তথ্যের ঘাটতি ছিল, তাদের তা পূরণে ১৫ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। পরিষ্কারভাবে জানানো হয়, এই সময়ের মধ্যে নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে দলটিকে ‘নিবন্ধনের অযোগ্য’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম বলেন, “রোববার ছিল ত্রুটি সংশোধনের শেষ দিন। ৮০টি দল তথ্য ঘাটতি পূরণ করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিও তাদের ঘাটতি পূরণ করে দিয়েছে।”
এরপর এখন শুরু হবে প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়া। বাছাই কমিটি দলগুলোর জমা দেওয়া নথিপত্র পর্যালোচনা করে প্রাথমিকভাবে যোগ্যদের তালিকা তৈরি করবে। এরপর সেই তালিকা উপস্থাপন করা হবে নির্বাচন কমিশনের সামনে, যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কোন দল নিবন্ধনের জন্য যোগ্য আর কোন দল নয়।
যেসব দল বাছাইয়ে টিকে থাকবে, তাদের তথ্য পুনরায় যাচাই করবে ইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগ। কমিশনের নির্দেশনা পেলে মাঠ পর্যায়েও তদন্ত চালানো হবে।
সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এবং নির্বাচন কমিশন চূড়ান্তভাবে সন্তুষ্ট হলে, ভোটের আগেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পেতে যোগ্য দলগুলোকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হবে।