সংস্কার কমিশনগুলোর দেওয়া নানা সুপারিশের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার ১৬টি সুপারিশ বাস্তবায়ন করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং (Chief Advisor’s Press Wing) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দুটি সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন (International Crimes Tribunal Act) সংশোধন এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও গণমাধ্যমের নীতিমালা প্রণয়ন।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন (Public Administration Reform Commission) যে দুটি সুপারিশ দিয়েছিল, তা পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর করা হয়েছে। এর একটি হলো—’নাগরিকদের পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি’ এবং অপরটি হলো—’গণশুনানি’র প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তবায়ন।
দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন (Anti-Corruption Reform Commission) থেকে মোট চারটি সুপারিশ বাস্তবায়ন করেছে সরকার। এই সুপারিশগুলো হলো—তদন্ত-পূর্ব আবশ্যিক অনুসন্ধান প্রথা বিলুপ্তি, দুদক (ACC) আইনের ৩২ক ধারা বাতিল, বড় ধরনের দুর্নীতির তদন্তে একাধিক সংস্থার সমন্বয়ে পৃথক টাস্কফোর্স গঠন এবং সিএজি ও আএমইডি-এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর।
সবচেয়ে বেশি সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন (Judicial Reform Commission) থেকে, যার সংখ্যা আটটি। বাস্তবায়িত উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে—সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বিচারপতি নিয়োগের জন্য কমিশন গঠন, আদালতে ইনফরমেশন ডেস্ক চালু, নারী ও শিশুদের জন্য পৃথক সুবিধাসংবলিত জায়গা নির্ধারণ, আইনজীবীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় অপর পক্ষের আইনজীবী নিয়োগে বাধা দূরীকরণ সংক্রান্ত সার্কুলার, আইনি সহায়তা কার্যক্রমে মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া সংযুক্তকরণ এবং দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিতকরণ।
এই বাস্তবায়িত সংস্কারগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসনিক দৃঢ়তা এবং দীর্ঘমেয়াদী কাঠামোগত উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন বলেই মনে করছেন প্রশাসন সংশ্লিষ্টরা।